বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত : মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিবাদের মূল হোতা ভারতে অবস্থান করছেন। আর ভারত আমাদের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি ফেসবুক দেখি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি ইলিটারেটর। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে যে ফেসবুক দিয়ে ভালো কাজও সম্ভব, ভয়ংকর কাজও সম্ভব। বর্তমানে সেখানে গুজব ছড়ানোর প্রবণতা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের যে অর্জন সেই অর্জনকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কিছু ব্যক্তি চেষ্টা করছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার জাতিটাকে বিভক্ত করে ফেলেছে। সেই বিভক্তিটা দূর করে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। মতাদর্শ ভিন্ন থাকতে পারে, সেটি ভিন্ন কথা। দেশের মানুষের এ বিষয়ে খেয়াল থাকতে হবে। সেই ঐক্যটা আমরা রাখতে চেষ্টা করেছি এবং সফল হয়েছি। জাতি হিসেবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না। ১৭ বছরে যে ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে সেটা সরাতে একটু সময় লাগবে। এ জন্য একটু সময় দিতে হবে। বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে তাদের প্রত্যেকটা সেক্টরে হাত দেওয়ার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি না। নির্বাচিত সরকার এলে তারা এই সংস্কার করবে।
তিনি আরও বলেন, এত বড় একটি অভ্যুত্থানের পরে আমরা যদি ধৈর্য না ধরি তাহলে তো চলবে না। জনগণ এখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো করা দরকার বলে আমরা মনে করি। আমি বাসায় এসেই খোঁজখবর নিয়েছি যে এখানে আলুর দাম কত, সবজির দাম কত, চালের দাম কত। সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বাসায় একজন দিদি আছেন যিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করেন। তিনি আমাকে বললেন, আগে চালের দাম ছিল ৬০ টাকা, এখন হয়েছে ৭০ টাকা। এটা আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। আমার মনে হয় সরকারের এই দিকটাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য সরকারের যা যা করণীয় সেটা করবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে এখন সব থেকে যে জিনিসটা জরুরি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। তার আগে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য উপযোগী একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবদল সভাপতি চৌধুরী মহেবুল্লাহ আবু নুর, সদর থানার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`