টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু
টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু
ভ্যাকসিনেশন বা টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্ত হয়েছেন সরকার প্রধান।
প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের নার্স সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা সহ ২৫ জনকে। স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে তাদের বাছাই করা হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে,সে প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে সেরে ফেলা হয়েছে।
**করোনাবধে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন আজ, প্রস্তুত বাংলাদেশ
**অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পাবেন ১ কোটি ৬৯ লাখের বেশি মানুষ
প্রধানমন্ত্রী প্রথম পাঁচজনের টিকা দেওয়ার সময় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে এ অনুষ্ঠান বিটিভিসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি প্রচার করছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হলে, দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নতুন বছরের মাত্র ২৭তম দিনেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন মহাযজ্ঞ শুরু করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ লাখ ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে ঢাকায়। ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। প্রস্তুত হাসপাতাল ও প্রশিক্ষিত টিকাদানকারীরাও।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে টিকাদান শুরুর কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান। এক দিন এগিয়ে সারা দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ৭ ফেব্রুয়ারি। পরিবর্তিত এই তারিখের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
**‘সুরক্ষা অ্যাপ’ –এ করোনার টিকা পেতে নিবন্ধন করবেন যেভাবে
**টিকা দিতে প্রস্তুত রাজধানীর পাঁচ হাসপাতাল
প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ কোটি টিকা আনতে গত নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশি ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চুক্তিতে বলা হয়, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ৫০ লাখ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকোর মাধ্যমে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেবে। এভাবে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে সেরাম থেকে।
চুক্তি অনুযায়ী, সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে নয়টি ফ্রিজার ভ্যানে করে ভ্যাকসিন টঙ্গীতে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, আগে ২১ জানুয়ারি ভারতের উপহার হিসেবে ২০ লাখ ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ। চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধন-
প্রধানমন্ত্রীর টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানেই চালু হবে টিকাদান ব্যবস্থাপনার ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্মের মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম। যারা টিকা নিতে চান,তাদের সবাইকেই অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
প্রস্তুত কুর্মিটোলাসহ পাঁচ হাসপাতাল-
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে টিকা দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় বুথ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া টিকা প্রয়োগের পরবর্তী পর্যবেক্ষণ ও কারো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে হাসপাতালগুলো।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত