৪-৫ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে সব জেলায়
বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে করোনার ভ্যাকসিন
৪-৫ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে সব জেলায়
বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে করোনার ভ্যাকসিন
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে আসা ৫০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন গাজীপুরের টঙ্গীর বেক্সিমকোর ফার্মাসিটিক্যালসের ওয়্যারহাউজে নেওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে নয়টি ফ্রিজার ভ্যানে করে ভ্যাকসিন টঙ্গীতে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওয়্যারহাউজে রেখে ভ্যাকসিনগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। সারা দেশে পাঠানোর আগে এই টিকা সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেওয়া হবে। এরপর সরকারের চাহিদা অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
**ভারত থেকে চুক্তির ৫০ লাখ ভ্যাকসিন পৌঁছুলো দেশে
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন-
‘প্রতিটি ভ্যাকসিনের স্যাম্পল আমরা ওষুধ প্রশাসনের ল্যাবরেটরিতে পাঠাবো টেস্ট করতে। তারা ছাড়পত্র দিলে প্রতিটি জেলায় আমরা পৌঁছে দেবো। ধারণা করছি, ৪৮ ঘণ্টার পর থেকে অথবা চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে আমরা এই ভ্যাকসিনগুলো দেশের সব জেলায় পৌঁছে দিতে পারবো।’
পাপন আরও বলেন-
‘এখন থেকে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে। এই ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য আমরা বিশেষ কার্ভার্ড ভ্যান কিনেছি। যা আমাদের কাছে আগে ছিল না। আজ ৯টি ভ্যান ভ্যাকসিন বহন করছে। মার্চে আরও ভ্যান আসবে।’
ভ্যাকসিন পেতে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে নিবন্ধনের কথা রয়েছে। গণভবন থেকে ২৭ জানুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া ভ্যাকসিনেশন বা টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথমদিনই নার্সের পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিচ্ছেন আরও ২৫ জন। আর দ্বিতীয় দিনের তালিকাটি দীর্ঘ। ২৮ জানুয়ারি ৫০০ জনকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
ঢাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন নেয়ার পর এক সপ্তাহ সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকে তবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরোদমে চলবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম।
১৬ কোটিরও বেশি মানুষের এই দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ কোটি টিকা আনতে গত নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশি ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চুক্তিতে বলা হয়, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ৫০ লাখ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকোর মাধ্যমে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেবে। এভাবে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে সেরাম থেকে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত