করোনার ভ্যাকসিনে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে
করোনার ভ্যাকসিনে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে
করোনার ভ্যাকসিন নিলে মাথাব্যথা,হালকা জ্বর, যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে সেখানে ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা বা কারও কারও বমিও হতে পারে। বেশি মাত্রায় প্রতিক্রিয়া হলো শ্বাসকষ্ট হওয়া, আবার জ্বরও হতে পারে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাকসিন বিতরণ কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক এসব কথা জানান।
তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার খুবই কম জানিয়ে ডা. শামসুল হক বলেন, 'পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার দুই থেকে তিন শতাংশের মতো। তবে যেকোনও ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই মাইল্ড থেকে মডারেট বা সিভিয়ার সাইড ইফেক্ট হতে পারে। তবে বাংলাদেশে শিশু এবং বড়দেরও যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সেখানে এনাফাইলিক্সিস বলে একটা কথা রয়েছে। এই এনাফাইলিক্সিস হচ্ছে একটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া—যেটা হতেই পারে। তবে এনাফাইলিক্সিসের আবার বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। তবে একটা জিনিস আমরা বলবো, যারা আমাদের ভ্যাকসিন দেবে,কেন্দ্রে যারা থাকবেন,তাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করা হবে।'
ডা. শামসুল হক জানান, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে উপজেলা,জেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কেন্দ্রভিত্তিক মেডিক্যাল টিম থাকবে এবং কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত ওষুধ মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার জন্য মজুত রাখা হবে। যাতে চিকিৎসক দল সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হতে পারে। উপজেলা হাসপাতালেও যদি এমন দুর্ঘটনা ঘটে সে বিষয়টি ভেবে সেখানে প্রস্তুতি নেওয়া থাকবে।
**ভ্যাকসিনের অনলাইন নিবন্ধন ২৬ জানুয়ারি থেকে
**দেশে করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন কারা কখন
**সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে ভ্যাকসিন নিতে হবে
**৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসছে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আসবে। সব প্রস্তুতি শেষে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনার ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বক্তব্য রাখেন।
সেখানে অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বলেন-
' আমার মনে হয় খুবই কম মানুষের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকবে। সেটা যেকোনও ওষুধের ক্ষেত্রেই এ আশঙ্কা থাকে। যেহেতু নতুন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাই আমরা প্রাথমিকভাবেই পরিকল্পনার করেছি। মোবাইল টিম থাকবে,টিকাদান কেন্দ্রে বেসিক ও ওষুধ লাগলে ইমিডিয়েটলি ম্যানেজ করার জন্য সেগুলোও থাকবে।'
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, উপজেলা কেন্দ্রে যতদূর সম্ভব সে ব্যবস্থা রাখা হবে। এর ব্যাকআপ হিসেবে বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে কমিটি থাকবে, যারা এগুলো বিচার বিশ্লেষণ করবেন,এসব সমস্যা ভ্যাকসিনের কারণে হয়েছে নাকি তার আগে থেকেই থাকা অন্য অসুস্থতায় হয়েছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত