ভারতে নাকে নেওয়ার কোভিড টিকা চালু
ভারতে নাকে নেওয়ার কোভিড টিকা চালু
ভারত তাদের প্রথম নাকে নেওয়ার কোভিড টিকা বাজারে ছাড়ল। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাটির যাত্রা শুরু হয় বলে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীন শ্বাসের সাহায্যে নেওয়া সম্ভব এমন কোভিড টিকার অনুমোদন দিয়েছিল।
এছাড়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরাও নাকে স্প্রের মাধ্যমে দেওয়ার সম্ভব এমন টিকা নিয়ে কাজ করছেন, জানিয়েছে বিবিসি।
ভারত বায়োটেকের বানানো এই ইনকোভ্যাক ড্রপ আকারে নাকে দিতে হয়, যা নাসিকা গহ্বরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোষগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উদ্দীপ্ত করে। গত বছরের নভেম্বরে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিন্নধর্মী বুস্টার ডোজ হিসেবে ইনকোভ্যাকের ব্যবহারে অনুমোদন দেয়।
যারা এর আগে ভারতে বানানো দুটি প্রধান কোভিড টিকা কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দুই ডোজ নিয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রেই এই ভিন্নধর্মী বুস্টার ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ডিসেম্বরে কর্তৃপক্ষ ইনকোভ্যাককে মৌলিক টিকা এবং দুই টিকা পরবর্তী সাধারণ বুস্টার হিসেবে ব্যবহারেও ছাড়পত্র দেয়।
সরকারি হাসপাতালে এই টিকার প্রতিটি ডোজ নিতে লাগবে ৩২৫ রুপি, বেসরকারি হাসপাতালে গুণতে হবে দ্বিগুণেরও বেশি, ৮০০ রুপি। এই টিকা নিতে সরকারের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধনও করা যাবে। দুটি ডোজ নেওয়া যাবে ২৮ দিনের ব্যবধানে। ভারত এখন পর্যন্ত নাগরিকদের কোভিড টিকার ২০০ কোটির বেশি ডোজ দিয়েছে; দেশটির জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশিই এরই মধ্যে টিকার অন্তত দুটি ডোজ পেয়েছেন বলে জানাচ্ছে তাদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত