ভারত থেকে চুক্তির ৫০ লাখ ভ্যাকসিন পৌঁছুলো দেশে
ভারত থেকে চুক্তির ৫০ লাখ ভ্যাকসিন পৌঁছুলো দেশে
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৫০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছে। এটি চুক্তির আওতায় ভ্যাকসিনের প্রথম চালান। এগুলো নেওয়া হচ্ছে বেক্সিমকোর টঙ্গীর গুদামে।
কোভিশিল্ড নামের এই ভ্যাকসিন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ভারতের পুনে থেকে দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। টিকার চালান গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন।সকাল থেকেই বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয় নয়টি ফ্রিজার ভ্যান।
সারা দেশে পাঠানোর আগে এই ভ্যাকসিন সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেওয়া হবে। এরপর সরকারের চাহিদা অনুযায়ী এই টিকা ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর চার দিন আগে ২১ জানুয়ারি ভারতের উপহার হিসেবে ২০ লাখ ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ।
**দেশে পৌঁছেছে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার (২৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, চুক্তির ৫০ লাখ এবং ভারতের উপহার ২০ লাখসহ মোট ৭০ লাখ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও বিতরণের সব প্রস্তুতি সরকার নিয়ে রেখেছে।
**ভারত থেকে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসছে কাল, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
গণভবন থেকে ২৭ জানুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া ভ্যাকসিনেশন বা টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথমদিনই নার্সের পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিচ্ছেন আরও ২৫ জন। আর দ্বিতীয় দিনের তালিকাটি দীর্ঘ। ২৮ জানুয়ারি ৫০০ জনকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
ঢাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন নেয়ার পর এক সপ্তাহ সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকে তবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরোদমে চলবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম।
১৬ কোটিরও বেশি মানুষের এই দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ কোটি টিকা আনতে গত নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশি ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
**বাংলাদেশকে ৪ ডলারে করোনার ভ্যাকসিন বিক্রি করবে সেরাম
**দেশে করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন কারা কখন
চুক্তিতে বলা হয়, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ৫০ লাখ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকোর মাধ্যমে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেবে। এভাবে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে সেরাম থেকে।
**ভ্যাকসিনের অনলাইন নিবন্ধন ২৬ জানুয়ারি থেকে
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ জরুরি ব্যবহারে গত ৩ জানুয়ারি ভারতের ওষুধ প্রশাসন (ডিসিজিআই) অনুমোদন দেয়। এর আটদিনের মাথায় গত ১১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন ভারতের সেরাম থেকে ‘কোভিশিল্ড’ নামের ভ্যাকসিন দেশে আসবে। এ জন্য অনলাইনে নিবন্ধনও শুরু হবে ২৬ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত