নরওয়েতে ভ্যাকসিন নেয়ার পর মৃত্যু সম্পর্কে সর্বশেষ কী জানা গেলো?
নরওয়েতে ভ্যাকসিন নেয়ার পর মৃত্যু সম্পর্কে সর্বশেষ কী জানা গেলো?
নরওয়েতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নেয়ার পর এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) যে ছয়জন মারা গেছেন তাদের কয়েকজনের বয়স ৮০ এর নিচে। তাই ৭৫ বছর বয়সিদেরও ঝুঁকি আছে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশটিতে শুধুমাত্র ফাইজার-বায়োএনটেক এর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। নরওয়েজিয়ান মেডিসিন এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সবার মৃত্যুই ভ্যাকসিন নেয়ার পর হয়েছে। বেশির ভাগ মৃত ব্যক্তিই বয়স্ক বা গুরুতর রোগে ভুগছিলেন।
পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক?
নরেওয়েজিয়ান মেডিকেল এজেন্সি বলছে তারা বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন। এবিষয়ে এজেন্সির পরিচালক স্টেইনার ম্যাডসেন দেশটির এনআরকে টিভিকে জানান, আমরা উদ্বিগ্ন নই। কারণ গুরুতর অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও তেমন ঝুঁকি নেই।
মৃত্যুর ঘটনার পর এখন কারা কারা ভ্যাকসিন পাবে সে বিষয়ে নতুন করে নির্দেশনা ঠিক করছে নরেওয়ে। ভ্যাকসিন দেয়ার আগে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সাথে আগের রোগ আছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে নরওয়েজিয়ান ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, সবার ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। এছাড়া আরও বলা হয়, বয়স্করা বেশিদিন বাঁচবেনা। তাই তাদের ভ্যাকসিনের সুবিধা নেয়ার বিষয়টি এমনিতেও অপ্রাসঙ্গিক।
স্টেইনার ম্যাডসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে চিকিৎসকদের এখন সতর্ক থাকতে হবে।
এটা কি অপ্রত্যাশিত?
এক্সপ্রেস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত ছিল না। গণভ্যাকসিন কার্যক্রমে অসংখ্য মানুষ সম্পৃক্ত থাকে। অনেক ধরনের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মানুষ থাকে। তাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এমনকি মৃত্যুও স্বাভাবিক।
এ ক্ষেত্রে বিচার করতে হবে মৃত্যুর জন্য ভ্যাকসিন কতটা দায়ী। এটা প্রমাণ করা অন্তত জটিল এবং সময় সাপেক্ষ বিষয়। কারণ এ ক্ষেত্রে প্রতিটি মৃত ব্যক্তির কেস স্টাডি করতে হবে। এবং সম্ভাব্যদেরও পরীক্ষা করতে হবে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে নরওয়েজিয়ান মেডিকেল এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেয়ার আগেই বলে দেয়া হয় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তবে তার মানে এই না, ভ্যাকসিনই মৃত্যুর জন্য দায়ী।
শুধুমাত্র নরওয়েতে প্রথম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তেমন নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এছাড়া ভারতেও ৫২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এখন কী করা হচ্ছে?
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, নরওয়েজিয়ান মেডিসিন এজেন্সির সাথে একযোগে মৃত্যুর তদন্ত করছে ফাইজার এবং বায়োএনটেক। জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত উদ্বেগজনক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফাইজার আরও জানায়, ফ্লোরিডায় ভ্যাকসিন নেয়ার দু’সপ্তাহ পর মারা যাওয়া চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়েও তদন্ত করেছে তারা। সেখানেও ভ্যাকসিনের জন্য মৃত্যু হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত