ভ্যাকসিনের অনলাইন নিবন্ধন ২৬ জানুয়ারি থেকে
ভ্যাকসিনের অনলাইন নিবন্ধন ২৬ জানুয়ারি থেকে
২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে আসা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন 'কোভিশিল্ড'পেতে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। সে লক্ষ্যে ২৬ জানুয়ারি থেকে একটি অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হবে।
সরকারের করোনা ভ্যাকসিন বিষয়ক পরিকল্পনা বিস্তারিত জানাতে সোমবার (১১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
**দেশে করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন কারা কখন
**সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে ভ্যাকসিন নিতে হবে
**৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসছে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম জানান, ‘সুরক্ষা’ নামের একটি মোবাইল ও ওয়েবভিত্তিক অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। এটি তৈরি করেছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রথম পর্যায়ে তারা ৫০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এর জন্য সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। ২১ জানুয়ারির মধ্যে অ্যাপ্লিকেশনটি চালু করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার বিভিন্ন ধাপ
নিবন্ধন: জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে নিবন্ধন
ভ্যাকসিন কার্ড: ওয়েব পোর্টাল থেকে ভ্যাকসিন কার্ড সংগ্রহ
এসএমএস বার্তা প্রেরণ: ভ্যাকসিন দেওয়ার তারিখ ও তথ্য প্রেরণ
প্রথম ডোজ: নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হবে
দ্বিতীয় ডোজ: নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হবে
ভ্যাকসিন সনদ: দুইটি ডোজ নেওয়ার পর পোর্টাল থেকে সংগ্রহ করতে হবে
অ্যাপটি কীভাবে কাজ করবে?
আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিবন্ধনের জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে অথবা ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। সেখানে থাকা প্রায় ১৯টি পেশার মধ্যে নিজের পেশাগত বিভাগ বেছে নিতে হবে।
এরপর, ব্যবহারকারীকে এনআইডি নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনআইডি ডেটাবেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বাকি তথ্য পূরণ করে নেবে।
নিবন্ধনকারীকে এই অ্যাপে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্যান্য রোগ আছে কি না, সে তথ্য দিতে হবে।
সেই সঙ্গে বর্তমান ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দিলে নিবন্ধনকারী মোবাইলে একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) পাবেন।
ওটিপি দেওয়ার পর একটি ভ্যাকসিন কার্ড তৈরি হবে। ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ কোথায় এবং কখন দেওয়া হবে তা কার্ডে উল্লেখ থাকবে।
ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গেলে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে।
কেউ ভ্যাকসিন পেয়েছেন কি না,তা যাচাই করতে ইমিগ্রেশন এবং বিভিন্ন দূতাবাস এই ওয়েব পোর্টালের সাহায্য নিতে পারবে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- করোনাভাইরাস
দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালগুলো - ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক, ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিনেটরাও
- পুরোপুরি না সেরেই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প
করোনাকে একদম ভয় পাবেন না! - মসজিদ-মন্দিরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো সরকার
- করোনা বিশ্ব ব্রিফ: নতুন নতুন সংক্রমণে কারফিউ, লকডাউন
- ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম, মোদিকে ট্যাগ দিয়ে অভিনেতার মৃত্যু
- করোনাভাইরাস
মহামারিগুলো সাধারণত কীভাবে শেষ হয়? - টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন
যারা নিলেন করোনার প্রথম ভ্যাকসিন - ভ্যাকসিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের কাছে টাকা চাইছে সিনোভ্যাক
- চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত