ফিরেই গোল পেলেও জয় পেলেন না মেসি
ফিরেই গোল পেলেও জয় পেলেন না মেসি
লিওনেল মেসি কবে মাঠে ফিরবেন সেই প্রশ্ন বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরপাক খেয়েছিল ভক্তদের মনে। অবশেষে চোট কাটিয়ে রোববার ইন্টার মিয়ামির হয়ে তিনি মাঠে ফিরলেন, করলেন দৃষ্টিনন্দন এক গোলও। তবে জয় পাওয়া হলো না ফ্লোরিডার ক্লাবটির। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মিয়ামি ও কলোরাডোর মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
চেজ স্টেডিয়ামে এমএলএসের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে কলোরাডোকে আতিথেয়তা দিয়েছে মিয়ামি। যেখানে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে যায় মেসি-সুয়ারেজের মেন ইন পিঙ্করা। পরিস্থিতি বদলাতে বিরতির পরপরই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। যার অল্প সময় পরেই ডি-বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে তিনি গোল করে মিয়ামিকে সমতায় ফেরান। এরপর মিয়ামি লিডও নিয়েছিল, তবে শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে সফরকারী কলোরাডো।
এর আগে মেসির ম্যাচ খেলার ফিটনেস নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এদিন অন্তত ১০ মিনিট খেলানোর কথা জানিয়েছিলেন মিয়ামির সহকারী কোচ জাভি মোরালেস। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে প্রায় এক মাস তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। এর মাঝে মিয়ামি চার ম্যাচ ও আর্জেন্টিনা দুটি প্রীতি ম্যাচে পায়নি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে। এমএলএস টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে এদিন জয় পেতে হতো মিয়ামির। তবে সেটি না হলেও অন্তত তারা পূর্ণ তিন পয়েন্ট হারায়নি।
পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল মিয়ামির। এমনকি সবমিলিয়ে কিংবা লক্ষ্যে শট নেওয়ার দিক থেকেও পিছিয়ে ছিল কলোরাডো। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে মিয়ামির বক্সে ক্যাবরাল ফাউলের শিকার হন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট-কিকে মিয়ামিকে হতাশ করে লিড এনে দেন কোল নাভাররো। ফলে পিছিয়ে থেকেই স্বাগতিকরা বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কোচ টাটা মার্টিনো মেসিকে মাঠে নামান। যার জন্য অধীর অপেক্ষায় বসেছিলেন গোলাপী জার্সিধারী ভক্তরা। মাঠে নামার ১২ মিনিটের মাথায় তাদের সেই আগ্রহের প্রতিদান দিয়ে গোল করেন মেসি। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে এক শটেই বল জালে জড়ান তিনি। এরপর মিয়ামিকে লিড এনে দেওয়া গোলেও অন্যতম ভূমিকা ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকার। ৬০ মিনিটে মেসির পাস ধরে ডেভিড রুইজ বক্সে ঢোকেন, এরপর তার বাড়ানো বল পেয়ে কলোরাডো গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে লিওনার্দো আলফনসো বল জালে জড়ান।
জয় প্রায় নিশ্চিত ভেবে মিয়ামি ম্যাচের শেষ গণ্ডির দিকেই আগাচ্ছিল, অপেক্ষায় ছিল শেষ বাঁশির। তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগেই তাদের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন কোল ব্যাসেট। অনেকটা মিয়ামির করা দ্বিতীয় গোলের মতোই তিনি সতীর্থের পাস পেয়ে কলোরাডোকে সমতায় ফেরানো গোলটি করেন।
এই ড্রয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৮ ম্যাচে ৩টি করে জয় ও ড্র নিয়ে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে মিয়ামি। তাদের অবস্থান টেবিলের দুইয়ে। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা নিউইয়র্ক রেডবুলসের পয়েন্ট ১৪।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান