দেড়শ রানের আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ
দেড়শ রানের আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের স্পিন বোলিংয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। দেড়শ হওয়ার আগেই ৮ ব্যাটারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নিলেন মিচেল স্যান্টনার। মেহেদী হাসান মিরাজকে ২০ রানে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচ বানান তিনি। দলীয় ১৪৫ রানে নিজের তৃতীয় উইকেট নিলেন স্যান্টনার।
নিজের জন্মদিনে বাংলাদেশের দুটি উইকেট তুলে নিলেন গ্লেন ফিলিপস। শাহাদাত হোসেন দীপুর প্রতিরোধ ভাঙার পর উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানকে আউট করেছেন নিউজিল্যান্ড স্পিনার। বাজে শট খেলে মিড অনে মিচেল স্যান্টনারকে সহজ ক্যাচ দেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ১৬ বলে ৭ রান করেন সোহান। ১৩৫ রানে সাত উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিমের অদ্ভুতুড়ে আউটের পর বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শাহাদাত হোসেন দীপু। ১০৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু জুটিটা ১৯ রানের বেশি হতে পারেনি। দীপু পেছনে ক্যাচ দেন টম ব্লান্ডেলকে। গ্লেন ফিলিপস তার ২৭তম জন্মদিনে প্রথম উইকেট পেলেন। ১০২ বলে দুটি চারে ৩১ রান করে বাংলাদেশি ব্যাটার। ১২৩ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে হাত দিয়ে বল আটকে আউট হলেন মুশফিকুর রহিম, যাকে বলা হয় ‘হ্যান্ডলিং দ্য বল’ আউট। ক্রিকেটীয় কানুনে এটি অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড। শাহাদাত হোসেন দীপুর সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে বাংলাদেশকে স্বস্তির জায়গায় রেখেছিলেন মুশফিক। কিন্তু হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে। ৮৩ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক। ভেঙে যায় ৫৭ রানের জুটি। ১০৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৪ উইকেটে ৮০ রানে বাংলাদেশ লাঞ্চ ব্রেকের পর খেলতে নামে। দ্বিতীয় সেশনের দশম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ছয় মারেন মুশফিকুর রহিম। পরের ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে তিনি দলীয় স্কোর একশ পার করেন।
এর পর লাঞ্চের আগে দাঁত কামড়ে পড়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দীপু। দুজনের ৩৩ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৮০ রন। ১৮ রানে মুশফিক, ১৪ রানে দীপু অপরাজিত আছেন।
বিনা উইকেটে ২৯ রান করা বাংলাদেশ ৪৭ রানেই হারায় চার উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার ও এজাজ প্যাটেল। মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দীপুর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
ঢাকায় স্পিন বোলিংয়ে বাংলাদেশ বিপদে পড়েছে। দুই প্রান্ত থেকে মিচেল স্যান্টনার ও এজাজ প্যাটেল ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ১০ বলে মুমিনুল হক মাত্র ৫ রান করে এজাজের শিকার হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড স্পিনার টানা দুই ওভারে উইকেট পেয়েছেন। ৪১ রানে ৩ উইকেট হারালো স্বাগতিকরা। আর ছয় রান যোগ হতে নাজমুল হোসেন শান্তও উইকেট হারান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন স্যান্টনার। রিভিউ নিয়েও থাকতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৪ বলে ৯ রানে বিদায় নেন তিনি। ৪৭ রানে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। পরের চার ওভারে কোনও রানই তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারালো ২৯ রানে। ১১তম ওভারে মিচেল স্যান্টনার ভেঙে দিলেন উদ্বোধনী জুটি। ৮ রান করে মিড অনে কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচ হন জাকির হাসান। ২৪ বলের ইনিংসে ছিল ১ চার। ৫ বলের মধ্যে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। পরের ওভারে প্রথম বলে তাকে টম ল্যাথামের ক্যাচ বানান এজাজ প্যাটেল। ৪০ বলে ২টি চারে ১৪ রান করেন জয়।
প্রথম দিনের সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৫৮ ওভারে ১৪৯/৮ (তাজুল ইসলাম ৪*, নাঈম ৪*, মিরাজ ২০, সোহান ৭, দীপু ৩১, মুশফিক ৩৫, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, জয় ১৪, জাকির ৮)
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান