সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভারতকে ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

১৮:৫৩, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

২৫২

ভারতকে ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ মিশনটা জয় দিয়ে শুরু করলেও টানা দুই হারে কোনঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ দল। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বিশ্বকাপের আয়োজক ও উড়তে থাকা ভারতের। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আবার ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বেই ভারতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় টাইগাররা।

শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়েন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। তাদের ব্যাটে ৯৩ রানের জুটির পর মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের ব্যাটে ছড়ে শেষ পর্যন্ত ২৫৬ রানে থামে বাংলাদেশ। এতে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫৭ রানের।

এর আগে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে দুই ওপেনার। বিশেষ করে তানজিদ হাসান তামিম দারুণ কিছু বাউন্ডারি নজর কাড়ে। দুই জনের দুর্দান্ত জুটিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ডও হয়।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেনের ৬৯ রান। দীর্ঘ ২৪ বছর পুরোনো সেই রেকর্ড নিজেদের করে নেন দুই ওপেনার লিটন ও তামিম। তবে দলীয় ৯৩ রানে এই জুটি ভাঙার পর দারুণ ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে।

ইনিংসের ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলটি খানিকটা জোরের ওপর করেছিলেন কুলদীপ যাদব। সেখানে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি তামিম। বল প্যাডে আঘাত হানলে আম্পায়ার আউট দেন। ৫১ রান করা এই ওপেনারকে ফিরিয়ে ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে কুলদীপ।

তামিম আউট হলে মাঠে নামেবন সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।  মাঠে এসে দেখে শুনেই শুরু করেন তিনি। তবে মাঠে থিতু হতে পারেননি তিনি। ২০তম ওভারের শেষ বলে রবীন্দ্র জাদেজার সোজা বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ বলে ৮ রান।

শন্তর মতো মিরাজও আজ ব্যর্থ হলেন। চার নম্বরে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারলেন না তিনি। ২৫তম ওভারের প্রথম বলটি লেগ স্টাম্পের ওপর খাটো লেন্থে করেছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ইন সুইং করে সেটা লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অযথা ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পরেছেন মিরাজ। ছেড়ে দিলে ওয়াইড হতো নিশ্চিত। সাজঘরে ফেরার আগে মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ৩ রান।

মিরাজের বিদায়ের পর হাফসেঞ্চুরিয়ান লিটান ৮২ বলে সাতটি চারের শটে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন। এরপর ধীর গতিতে ব্যাট করা তাওহীদ হৃদয়ও ব্যর্থ হন। তার ব্যাট থেকে ৩৫ বলে আসে মাত্র ১৬ রান।

সেট হওয়া অন্য ব্যাটার মুশফিকও রান বাড়িয়ে নেওর সময় আউট হন। তিনি ৪৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেন। শেষে মাহমুদউল্লাহ ৩৬ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কার শটে ৪৬ রান করলে আড়াইশ’ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় টাইগাররা।

স্বাগতিক ভারতের হয়ে পেসার বুমরাহ ১০ ওভারে মাত্র ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। মোহাম্মদ সিরাজ ১০ ওভারে ৬০ রান দিলেও নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট। এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রান খরচা করে ২ উইকেট তুলে নেন। শার্দুল ঠাকুর ও কুলদীপ যাদব নেন  একটি করে উইকেট। তাদের দাপুটে বোলিংয়ের কারণে হার্ডিক পান্ডিয়ার ইনজুরির ধাক্কা টের পায়নি ভারত।

 

 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank