মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ম্যারাডোনার ২২

স্পোর্টস ডেস্ক

১৫:৪০, ২৬ নভেম্বর ২০২০

আপডেট: ১৫:৪৩, ২৬ নভেম্বর ২০২০

৬২০

ম্যারাডোনার ২২

বর্ণিল জীবন অতিবাহিত করেছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। ফুটবলে পেয়েছেন অজস্র সাফল্য। থেকেছেন সবসময় বিতর্কে। সেই তিনিই বুধবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তবে রয়ে গেছে তার অসংখ্য স্মৃতি। ফুটবল ঈশ্বরের ২২ তথ্য নিয়ে এ আয়োজন। 

১. ম্যারাডোনার বাহুতে চে গুয়েভারা এবং বাঁ পায়ে ছিল ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ট্যাটু।

২. ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার একটি টেলিভিশনে টকশো শুরু করেন তিনি। তার প্রথম শো’য়ে অতিথি ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী পেলে।

৩. ২০০৬ সালে হোর্হে ভালদানো বলেন, ম্যারাডোনা এমন মানুষ যাকে অনেকে অনুকরণ করে, ভালোবাসে, ঘৃণা করে। সে ভীষণভাবে নাড়া দেয়, বিশেষত আর্জেন্টিনাকে। মাঠে তার কোনো জুটি ছিল না। কিন্তু নিজের জীবনকে নতুন  শো’য়ে রূপ দেন। এখন কঠিন জীবনযাপন করছে ও। যা মোটেও উচিত নয়।

৪. ম্যারাডোনার সম্মানে আর্জেন্টিনার জুনিয়র্স নিজেদের স্টেডিয়ামের নামকরণ করেছে ইস্তাদিও দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।

৫. ১৯৯০ সালে সেরা একাদশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আর্জেন্টাইন কোচ কার্লোস বিলার্দো বলেন, ম্যারাডোনা এবং বাকি ১০ জন।

৬. সার্বিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতা এমির কুস্তুরিচা ম্যারাডোনাকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেন। ২০০৮ সালের কান চলচিত্র উৎসবে তা প্রদর্শিত হয়।

৭. ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ স্যার ববি রবসন বলেন, ম্যারাডোনাকে নিয়ে আর্সেনাল বিশ্বকাপও জিততে পারে।

৮. ১৯৯৮ সালে বুয়েন্স আয়ার্সে ‘চার্চ অব ম্যারাডোনা’ শুরু করেন ভক্তরা।

৯. ফরাসি শো ‘লেস গুইগঁলস দে এল ইনফো’তে ম্যারাডোনা সদৃশ পুতুল আছে।

১০. ঘরোয়া ক্লাব প্রতিযোগিতায় ম্যাচ প্রতি ম্যারাডোনার গড় গোল শূন্য দশমিক ৫২৬।

১১. ২০০৯ সালে ইতালি জানায়, ম্যারাডোনার কাছে ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো পাবে তারা। এর অর্ধেকই ছিল সুদ।

১২. ম্যারাডোনা ভেলকিতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে আর্জেন্টিনা। এরপর তার প্রশংসায় মাতে ইংলিশদের প্রতিবেশি স্কটিশ ফ্যান গ্রুপ ‘দ্য টারটান আর্মি’। 

১৩. ২০০৮ সালে প্রাকৃতিক গাছগাছড়া নিয়ে কাজ করা সংস্থা আইআইএমএসএএম’র শুভেচ্ছাদূত হন ম্যারাডোনা।

১৪. ২০১৫ সালে তিউনিশিয়ান রেফারি আলি বিন নাসেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ম্যারাডোনা। তাকে নিজের সাক্ষরিত আর্জেন্টিনার জার্সি উপহার দেন তিনি। ইংল্যান্ড-আর্জেন্টিনার সেই কোয়ার্টার-ফাইনাল পরিচালনা করেন বিন নাসের। ওই ম্যাচে হাত দিয়ে গোল করেন ফুটবল কিংবদন্তি।

১৫. ২০০০ সালে আত্মজীবনী ‘আই অ্যাম দ্য দিয়েগো’ প্রকাশ করেন ম্যারাডোনা। এই বইয়ের সত্ব কিউবার মানুষকে দান করেন তিনি।

১৬. আর্জেন্টিনাভিত্তিক কোনেক্স ফাউন্ডেশন ১৯৯০ সালে তাকে ডায়মন্ড কোনেক্স পুরস্কার দেয়। যা দেশটির সবচেয়ে মর্যাদাকর সাংস্কৃতিক অ্যাওয়ার্ড। 

১৭. অনুপ্রেবশকারী ফটোগ্রাফারের গাড়ির কাঁচ গুঁড়িয়ে দিয়ে ম্যারাডোনা বলেন, হ্যান্ড অব রিজন (যুক্তি)-এর হাত দিয়ে এ কাজ করেছি আমি।

১৮. রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রিবলিং করে গোলরক্ষককে কাটানোর পর ডিফেন্ডার হুয়ান জোসেকে ফাঁকি দিয়ে গোল করে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের তালি পান ম্যারাডোনা। 

১৯. আইনত ম্যারাডোনা দুই সন্তানের বাবা। পিতৃত্ব নিয়ে তিনি বলেন, আমার আইনসিদ্ধ সন্তান দালমা ও জিয়ান্নিনা। বাকিগুলো অর্থ ও ভুলের ফল।

২০. ২০০৭ সালে ইরানের মানুষের সমর্থনে নিজের সাক্ষরিত জার্সি উপহার দেন ম্যারাডোনা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাদুঘরে যা সংরক্ষিত আছে।

২১. ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আজটেকা স্টেডিয়াম প্রবেশদ্বারে ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরির’ মূর্তি রয়েছে।

২২. আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দ্বৈরথ চিরন্তন। তবু ম্যারাডোনাকে সম্মান জানাতে ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত দিয়েগো কস্তার নামে ‘দিয়েগো; যুক্ত করা হয়।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank