টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করলো নারী ক্রিকেটাররা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করলো নারী ক্রিকেটাররা
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে ১১ রানের জয়ে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। একই সঙ্গে টানা চতুর্থ জয়ে ফাইনালও নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে অল্প পুঁজি নিয়েই দারুণ লড়াই করে থাই নারীদের ১০২ রানে আটকে রাখে তারা। যার ফলে আয়ারল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে পৌঁছে গেলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কঠিন চাপে পড়ে যায় থাইল্যান্ড। ইনিংসের পাঁচ ওভারের মধ্যে মাত্র ১৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিন ব্যাটার। নিজের প্রথম ওভারে ডাবল উইকেট মেইডেন নেন বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আখতার মেঘলা।
সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়ে চতুর্থ উইকেটে ৩২ রান যোগ করেন নারুমল চাওয়াই ও নাত্থাকাম চান্থাম। অধিনায়ক নারুমল ইনিংসের ১৩তম ওভারে দলীয় ৪৫ রানে আউট হওয়ার আগে খেলেন ২৭ বলে ১২ রানের ইনিংস। যা দলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে শুধু।
এরপর আহত অবসর হন চানিদা সুত্থিরুয়াং। তার জায়গায় নামা সোনারিন টিপোচকে নিয়ে শেষ চেষ্টা চালান চান্থাম। বিশেষ করে শেষ তিন ওভারে ৫১ রানের চাহিদায় ১৮তম ওভারে ১৬ রান ও ১৯তম ওভারে ১৩ রান নিয়ে খেলা জমানোর আভাস দেন তিনি।
কিন্তু ব্যক্তিগত ফিফটির বাইরে আর কিছুই পাননি চান্থাম। ইনিংসের শেষ ওভারে অভিজ্ঞ অফস্পিনার সালমা খাতুনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে চারটি চার ও তিনটি ছয়ের মারে ৫১ বলে ৬৪ রান করেন ২৬ বছর বয়সী চাত্থাকাম। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১০২ রান করে থাইল্যান্ড।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন সালমা। এছাড়া মেঘলা দুই ও নাহিদা আখতারের শিকার এক উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে'র ছয় ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭ রান করে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ধীর হতে থাকে রানের গতি। ১৫ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৬৮ রান।
ফারজানা হক পিঙ্কি ১৭ বলে ১১, মুরশিদা খাতুন হ্যাপি ৩৫ বলে ২৬ ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ২৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন। ইনিংসের ১৫ ওভার শেষে মাত্র ৬৮ রান হওয়ায় খানিক চাপেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রোমানা আহমেদের ব্যাটে মেলে রক্ষা। যার সুবাদে শেষ পাঁচ ওভারে আর দুই উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান যোগ করে বাংলাদেশ। অপরাজিত ইনিংসে রোমানা করেন ২৪ বলে ২৮ রান। এছাড়া শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংসে ১০ বলে ১৭ রান করেন ঋতু মণি।
উল্লেখ্য, দশ দলের অংশগ্রহণে হতে যাওয়া ২০২৩ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে আগে থেকেই জায়গা নিশ্চিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এছাড়া র্যাংকিং বিবেচনায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান পেয়েছে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট।
আর আরব আমিরাতে চলমান বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলো বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ফাইনালে ওঠার মাধ্যমেই এ দুই দলের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে গেছে। এবার আগামী রোববার রাত ৯টায় চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে নামবে দুই দল।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান