১৯২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
১৯২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
শুরুটা খারাপ ছিল না। অধিনায়ক তামিম ইকবালের বিদায়ের পর লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপরই হঠাৎ ধস। তাতেই শেষ হয়ে গেলো বড় পুঁজির সম্ভাবনা। শেষ পর্যন্ত ১৯২ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১২১ রান করে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। এরপর মাত্র ৭১ রানেই পড়েছে শেষের ৮টি উইকেট। ফলে বোলারদের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে হলে আটকে রাখতে হবে ১৯২ রানের মধ্যে।
সবুজ উইকেটে আফগান বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকির বিপক্ষে সাবধানী শুরু করেছিলেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লে'তে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ পায় ৪৩ রান। তবে ১১তম ওভারের প্রথম বলেই ফারুকির বলে বোল্ড হন ১১ রান করা তামিম।
চলতি সিরিজে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফারুকির বলেই আউট হলেন টাইগার অধিনায়ক। আর প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজের সব ম্যাচে একই বোলারের বলে আউট হলেন তামিম। প্রথম দুই ম্যাচে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর হওয়ার পর আজ একই লেন্থের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
তামিম ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে পরিস্থিতি ঠাউরে রানের চাকা বাড়াতে থাকেন সাকিব আল হাসান ও লিটন। আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া সাকিব আজকে নিজের প্রথম বলেই দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে হাঁকান বাউন্ডারি। সাকিব-লিটনের জুটিতে ২১ ওভারের মধ্যেই পূরণ হয় দলীয় ১০০ রান।
এরই মাঝে ফিফটি তুলে নেন পঞ্চাশতম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫০ ওয়ানডের মধ্যেই ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন লিটন। আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আজও সেঞ্চুরির পথে এগুতে থাকেন এ ডানহাতি ওপেনার।
কিন্তু লিটনকে সঙ্গে দিতে পারেননি অন্য ব্যাটাররা। দলীয় ১০৪ রানের মাথায় অফস্ট্যাম্প লাইনে থাকা ডেলিভারি আলতোভাবে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ৩০ রান করা সাকিব। পরে ১২১ রানে মুশফিক (৭) ও ১২৫ রানের সময় সাজঘরে ফিরে যান ইয়াসির আলি রাব্বিও (১)। অভিষেক সিরিজে দুই ম্যাচে ব্যাটিং পেয়ে ১ রানই করতে পারলেন ইয়াসির।
এরপর বিপদ সামাল দেওয়ার মিশনে লিটন-মাহমুদউল্লাহর জুটির শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু মোহাম্মদ নবির বলে স্লগ করতে গিয়ে ঠিক ব্যাটে-বলে হয়নি লিটনের। দলীয় ১৫৩ রানের মাথায় তিনি আউট হন ব্যক্তিগত ৮৬ রানে। হতাশ করেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। বাজে শটে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৫ রান।
তবু একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আত্মঘাতী রানআউটে বিপদ বাড়িয়ে সাজঘরে ফেরেন ৬ রান করা মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর তিন পেসারকে নিয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব হয়নি মাহমুদউল্লাহর। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে মোস্তাফিজের রানআউটে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে।
আফগানিস্তানের পক্ষে রশিদ খান নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। অফস্পিনার মোহাম্মদ নবি ১০ ওভারে ২৯ রান খরচায় নেন ২ উইকেট।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান