শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ || ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১৬ রান

স্পোর্টস ডেস্ক

১৪:৫৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

৪৭৮

জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১৬ রান

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফেভারিটের তকমা নিয়েই প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডের প্রথম ইনিংস শেষে স্বস্তিতেই থাকার কথা তামিম বাহিনীর। কারণ আফগানদের যে অল্পতেই বেঁধে ফেলা গেছে। 

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল সফরকারীরা। আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ জাদরান শেষপর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্ত তাসের ঘরের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ২১৫ রানে থেমেছে আফগানদের ইনিংস। 

এই রানটা দুইশও পেরোত না, যদি না নাজিবুল্লাহ একপ্রান্ত আগলে না রাখতেন। ৮৪ বলে তার ৬৭ রানের মূল্যবান ইনিংসে ভর করেই মান বেঁচেছে রশিদ-নবিদের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ রহমত শাহর। তিনি করেন ৩৪ রান। 

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ সাফল্য মুস্তাফিজের। ৩টি উইকেট পান এ পেসার। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট তুলে নেন তাসকিন, শরিফুল এবং সাকিব। 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই চার হাঁকিয়েছিলেন আফগান ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজ। তৃতীয় ওভারে সেই গুরবাজকেই চারের খেসারত দিতে হয়। মুস্তাফিজের বলে এগিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকমতো হয়নি। অনেক উঁচুতে ওঠা ক্যাচ মিড অনে ধরেছেন তামিম।

দলীয় ১১ রানে ভাঙে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারে ৭ রান দেওয়ার পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজ দিলেন মাত্র ৩ রান। এরপরের ওভারে কাটার মাস্টার দিলেন মাত্র ১ রান! মুস্তাফিজের বলে বেশ ভোগান্তিতে আফগান টপঅর্ডার।

তাসকিনের বল ডিপ স্কয়ার লেগে উড়িয়ে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু বলের দিকে না গিয়ে ক্যাচ নিজের কাছে আসার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়েই গড়বড় পাকিয়ে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। ফলাফল আরেকটি উইকেট পতনের সুযোগ পেয়েও হলো না। ক্যাচ মিস বাই মাহমুদউল্লাহ।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজকে চার মেরেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৩৭ বল পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে সেই ফিজের বলেই আফগান ইনিংসের দ্বিতীয় চারটি মারলেন রহমত শাহ।

১১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন রহমত ও ইব্রাহিম। টার্গেট বানান তাসকিন। অষ্টম ওভারে তার করা বলে চার-ছক্কা মেরে যেন পুষিয়ে নিচ্ছিলেন দুই ব্যাটার।

তাসকিনের খরুচে ওভারের পর নবম ওভারে তামিম বল তুলে দেন সাকিবকে। এসেই মেইডেন। কোনো রান দেননি।

মুস্তাফিজের পর আফগান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত শরিফুলের। ১১ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটিতে ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে উঠছিলেন ইব্রাহিম ও রহমত। অবশেষে মুস্তাফিজ ভাঙেন আফগানদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। তার করা গুড লেংথের বল কাভার ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন আফগান ব্যাটার ইব্রাহিম। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ইয়াসিরের হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম। 

তাসকিন দুর্ভাগাই বটে। তার বলে ক্যাচ ছাড়া যেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য রোজকার দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজও প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি ক্যাচ মিসে উইকেটবঞ্চিত হন তাসকিন। তবে শেষমেশ উইকেটের দেখা পেলেন। নিজের দ্বিতীয় স্পেলের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এসে অবশেষে উইকেটের দেখা পেলেন বাংলাদেশের পেসার। বাড়তি বাউন্স সামলাতে পারেননি আফগান ব্যাটার রহমত। ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার মুশফিকের বিশ্বস্ত গ্লাভসে চলে যায় বল।

একপ্রান্তের ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিলে অন্য প্রান্তে আগ্রাসী হয়ে উঠছিলেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহীদি। তাকে ফেরাতে দুই প্রান্ত থেকেই অফ স্পিনারকে নিয়ে আসেন তামিম। সুফলও পান হাতেনাতে। মাহমুদউল্লাহর বলে কাট করতে গিয়ে মুশফিকের হাতে ধরা পড়লেন। ৪৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করে ফিরেছেন আফগান অধিনায়ক। 

শাহীদির পর মোহাম্মদ নবিকে ফেরালেন তাসকিন। এটি তার দ্বিতীয় শিকার। অন্যদিকে, টানা তিনটি ক্যাচ তালুবন্দি করে নিলেন মুশফিক। ৮ ওভারে এক মেইডেনে রান দিয়েছিলেন ৪৯। সাকিব আল হাসানের নামের সঙ্গে যেন এমন পরিসংখ্যান ঠিক মানাচ্ছিল না। ব্যাপারটি তিনিও বুঝলেন অবশেষে! ইনিংসের ৪৬তম আর ব্যক্তিগত নবম ওভারে বল করতে এসে ফেলেন দুটি উইকেট।

প্রথমে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ২১ বলে ১৭ করা গুলবাদিন নাইবকে। এরপর ফেরালেন রশিদ খানকে। আফগান এ তারকা স্পিনারের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন সাকিব। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে রশিদ। সাকিবের পর মুস্তাফিজের ধাক্কা। মুজিব উর রহমানকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিলেন কাটার মাস্টার।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank