জ্যাকসের ঝড়ে বিপিএলের প্লে-অফে চট্টগ্রাম
জ্যাকসের ঝড়ে বিপিএলের প্লে-অফে চট্টগ্রাম
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফের টিকিট পেলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সকে হারিয়ে এ কৃতিত্ব অর্জন করলো তারুণ্যনির্ভর দলটি। যেখানে তাদের জয়ের নায়ক ইংলিশ তরুণ উইল জ্যাকস।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৮৫ রান। জবাবে চট্টগ্রামও হারিয়েছে ৬ উইকেট। তবে ১৯.১ ওভারেই ১৮৮ রান তুলে ৪ উইকেট ম্যাচ জিতে নিয়েছে তারা। জ্যাকসের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭ বলে ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
নিজেদের ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে পাওয়া ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে ওঠার পাশাপাশি প্লে অফের টিকিটও পেয়েছে চট্টগ্রাম। অন্যদিকে সিলেট তাদের টুর্নামেন্ট শেষ করলো ১০ ম্যাচে ১ জয় ও ১ পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া মোট ৩ পয়েন্ট নিয়ে।
এখন সন্ধ্যায় রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইগার্স। এই ম্যাচে খুলনা জিতলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা পাবে প্লে অফের টিকিট। আর হেরে গেলে ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট থাকা মিনিস্টার ঢাকা হবে প্লে অফের চতুর্থ দল।
সিলেটের ১৮৫ রানের জবাবে শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং করেছে চট্টগ্রাম। প্রথম পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারালেও তারা তুলে নেয় ৬০ রান। জাকির হাসান (১৭) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব (৭) বিদায়ে দলকে চাপে পড়তে দেননি উইল জ্যাকস।
ক্যারিবীয় তারকা চ্যাডউইক ওয়াল্টন ও উইল জ্যাকস মিলে ৬.৫ ওভারে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। ইনিংসের ১২তম ওভারে দলীয় ১০৮ রানে আউট হন ওয়াল্টন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে ২৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস।
এরপর বেনি হাওয়েল সাজঘরে ফিরে যান ৮ বলে ৮ রান করে। এর আগেই তিনটি করে চার-ছয়ের মারে মাত্র ৩৫ বলে চলতি আসরে নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন জ্যাকস। ছয় নম্বরে নেমে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ৭ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলে দলের কাজ সহজ করেন শামীম পাটোয়ারী।
আর শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন জ্যাকস। তার ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৫৭ বলে ৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
এর আগে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই ছিল সিলেটের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৪১ রান যোগ করেন কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়।
মেহেদি হাসান মিরাজের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১ চার ও ২ ছয়ের মারে ১৯ বলে ২৪ রান করা ইনগ্রাম। পরের ওভারে আউট হন মিজানুর রহমান। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর তিন শিকারের প্রথমটিতে পরিণত হওয়ার আগে ৩ বলে কোনো রান করতে পারেননি মিজানুর।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬.২ ওভারে ৫৪ রান যোগ করেন এনামুল বিজয় ও লেন্ডল সিমন্স। কিন্তু দুজনের কেউই ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁতে পারেননি। মৃত্যুঞ্জয়ের করা ১৩তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে এনামুল ২৫ বলে ২৯ ও সিমন্স ২৮ বলে খেলেন ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস।
ইনিংসের বাকি পথটা সামাল দেন সাবেক অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও বর্তমান অধিনায়ক রবি বোপারা। এ দুজন মিলে মাত্র ৬.৫ ওভারে যোগ করেন ৮০ রান। সৈকত-বোপারার ঝড়ে শেষের ৪ ওভার থেকেই ৬১ রান তুলে নেয় সিলেট।
একদম শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে মাত্র ২১ বলে ৪৪ রান করেন বোপারা। অন্যদিকে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২২ বলে ৩৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক সৈকত।
চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে মৃত্যুঞ্জয় নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল ইসলামের শিকার ১টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান