সৌম্য-ফ্লেচারে খুলনার সহজ জয়
সৌম্য-ফ্লেচারে খুলনার সহজ জয়
পয়েন্ট টেবিলের নিচে থাকা দুই দলের লড়াইয়ে জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। অন্যদিকে নিজেদের মাঠে নেমেও জয় পায়নি সিলেট সানরাইজার্স। এর মধ্যে স্বস্তির বিষয়, রান পেয়েছেন দেশের দুই ব্যাটসম্যান।
সিলেটের দেওয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য পার করতে বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। সৌম্য আর ফ্লেচারের ব্যাটে ৩৪ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে মুশফিকুর রহিমরা।
লক্ষ্য টপকাতে একেবারে বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। অর্ধশতক করা ফ্লেচারের সঙ্গে সৌম্যর ৪৩ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৯ উইকেট এবং ৩৪ বল হাতে রেখে ৬ ম্যাচে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচে এটি সিলেটের চতুর্থ হার, জয় মাত্র ১ ম্যাচে।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের দেওয়া ১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু পায় খুলনা। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তোলে ৬৫ রান। সিলেটের বোলারদের নখদন্তহীন বোলিংয়ের ফায়দা নিতে ভুল করেননি সৌম্য। রান খরায় ভুগতে থাকা এ বাঁহাতি আলগা বল পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ছুটছিলেন ফিফটির দিকে। তবে বাঁহাতি নাজমুল ইসলাম অপুর বলে আউট হন ব্যক্তিগত ৪৩ রানে। যেখানে ৩১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি।
সৌম্য আউট হলে ফ্লেচারের সঙ্গে ভাঙে ৯৯ রানের পার্টনারশিপ। সৌম্যর আউট হওয়ার আগেই ফিফটির স্বাদ পান ফ্লেচার। ৩৪ বলে অর্ধশতক ছুঁয়েছেন তিনি। সৌম্য আউট হওয়ার পর ফ্লেচার আর থিসারা পেরেরা ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। দলের রান রেট বাড়িয়ে নিতে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন দুজন। পরে আর কোন উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে নৌকা ভেড়ায় খুলনা। ৯ উইকেটে পাওয়া জয়ে হাতে থাকে ৩৪ বল। যেখানে ফ্লেচার সমান ৫টি করে চার-ছয়ে ৪৭ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। পেরেরা করেন ৯ বলে ২২ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে সিলেট সানরাইজার্স। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় দুই বিদেশি রিক্রুটসহ ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ওপেনার এনামুল হক বিজয় আজ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে আউট হন ১০ বলে ৪ রান করে। চট্টগ্রাম পর্বে সেঞ্চুরি তোলার পর রান খরায় ভুগছেন সিমন্স। আগের ম্যাচে ৯ রান করার পর আজ ঢাকায় ফিরে আউট হন ৬ রানে। যেখানে ১৯ বল খরচ করেন তিনি। ফেরেন খালেদ আহমেদের প্রথম শিকার হয়ে।
এবারের বিপিএলে সিলেট জার্সিতে মাঠে নামা কলিন ইনগ্রাম নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। খুলনার বিপক্ষে এ ম্যাচে তার সংগ্রহ মোটে ২ রান। নাবিল সামাদের বাঁহাতি স্পিনে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন। দলীয় ৯ ওভারের মধ্যে এই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। তবে সেই চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করেন মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৬৮ রানের জুটি।
দারুণ খেলতে থাকা জুটি ভাঙে মোসাদ্দেক বিদায় নিলে। ৩০ বলের মোকাবেলায় তিনি করেন ৩৪ রান, হাঁকান ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। সতীর্থকে হারালেও প্রাণবন্ত ব্যাটিং করতে থাকেন জাতীয় দলে জায়গা হারানো মিঠুন। ৪২ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৫১ বলে ৭২ রান করেন মিঠুন। হাঁকান ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪২ রান। খুলনার পক্ষে ২ উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান