চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনার লক্ষ্য ১৪৪
চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনার লক্ষ্য ১৪৪
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অষ্টম আসরে আজ শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে প্রথমে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আসরের নবম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে খুলনার বঁ-হাতি স্পিনার নাবিল সামাদের নৈপুন্যে শুরুটা ভাল করতে পারেনি চট্টগ্রাম।
এবারের আসরে প্রথমবারের মত খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইসকে ১ রানে সাজ ঘরে ফেরান নাবিল।
শুরুতেই লুইসকে হারানোর ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামলে উঠেন আরেক ওপেনার ইংল্যান্ডের উইল জ্যাকস ও তিন নম্বরে নামা আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লেতে দলের স্কোর ৪৬ রানে নিয়ে যান তারা। সাচ্ছেন্দ্যে ব্যাট করে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন জ্যাকস ও আফিফ।
তবে দলীয় ৬০ রানে ও নবম ওভারে জ্যাকস-আফিফ জুটি ভাঙ্গেন খুলনার শ্রীলংকার অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। স্লোয়ার ডেলিভারিতে ২৮ রান করা জ্যাকসকে আউট করেন পেরেরা। ২৩ বল খেলে ৪টি চার মারেন জ্যাকস। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন জ্যাকস ও আফিফ।
জ্যাকসের আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১০০ রানের আগেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা। খুলনার শ্রীলংকান স্পিনার সেক্কুজে প্রসন্নকে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ফরহাদ রেজাকে ক্যাচ দেন সাব্বির রহমান। দারুন শটে বাউন্ডারি দিয়ে রানে খাতা খোলা সাব্বির বিদায় নেন ৪ রান করেন।
উইকেটে গিয়ে সেট হয়েছিলেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। খুলনার স্পিনার মাহেদিকে ছক্কা মারতে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মিরাজ। ১০ বলে ৬ রান করেন তিনি।
ঢাকা পর্বের তিন ম্যাচে দলের প্রয়োজনে শেষদিকে দুর্দান্ত ব্যাট করা ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল, এবার ব্যর্থ হন। পেরেরার স্লোয়ার ডেলিভারির সামনে আত্মসমর্পন করে বিদায় নেয়ার আগে ৫ রান করেন।
সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে ব্যাট হাতে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন আফিফ। কিন্তু দলের বিপর্যয়ের সময় বিদায় নেন আফিফও। রেজাকে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে মাহেদির দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন ৩৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করা আফিফ।
শেষদিকে নাইম ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম দ্রুত রান তুলে চট্টগ্রামকে লড়াই করার পুঁিজ এনে দেন। কামরুলের করা শেষ ওভার থেকে ১৭ রান তুলেন তারা। এতে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান পায় চট্টগ্রাম।
১৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২৫ রান করেন নাইম। ১টি করে চার-ছক্কায় ৬ বলে অনবদ্য ১২ রান তুলেন শরিফুল। খুলনার পেরেরা ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৪৩/৮, ২০ ওভার (আফিফ ৪৪, জ্যাকস ২৮, নাইম ২৫*, পেরেরা ৩/১৮)।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান