প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির অপেক্ষায় লিটন, এগিয়ে বাংলাদেশ
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির অপেক্ষায় লিটন, এগিয়ে বাংলাদেশ
বিপদে থাকা দলকে উদ্ধার করেছেন আগেই, এবার পুরো দিন নিজেদের করে নেয়ার মিশনে আছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস। তাদের দেড়শো রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সে পথে এগিয়েও যাচ্ছে টাইগাররা।
প্রথম সেশনের তুলনায় দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ বেশ ভালোই খেলেছে। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছিল মাত্র ৬৯ রান। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি। বরং, ৩১ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে আরও ১০২ রান। হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম- দু’জনই।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দলীয় স্কোর ২১৭-৪। দুজনের জুটি ১৬৯ রানের। লিটন অপরাজিত আছেন ৯১ রান করে আর অপেক্ষা করছেন নিজের প্রথম শতরানের দেখা পাওয়ার। অন্যপ্রান্তে নিজের ২৪ তম টেস্ট অর্ধশতক আদায় করেছেন মুশফিকুর রহিম।
দিনের প্রথম সেশনটা ছিল বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্নের। চারটি উইকেট হারাতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ২৮ ওভারে রান উঠেছিল ৬৯। তবে দ্বিতীয় সেশনে এসে ইনিংস মেরামতের কাজটা ভালোভাবেই করে যাচ্ছেন দুই ব্যাটার লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম।
৩৩ রানের মাথায় দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক মিলে চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশের ইনিংস মেরামত করতে। কিন্তু মাত্র ১৫ রানের জুটি গড়তে পারলেন তারা দু’জন। ১৯ বলে ৬ রান করে ফিরে যান মুমিনুল।
সাজিদ খানের করা ইনিংসের ১৬ তম ওভারের প্রথম বলেই ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় পাকিস্তান। তাতে দেখা যায়, ব্যাটের কানায় লাগিয়েছেন বল মুমিনুল হক।
পরের ওভারেই উইকেট দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার ফাহিম আশরাফের বলকে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন সাজিদ খানের হাতে। টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউট দেন।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। কিন্তু পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হাসান আলির সামনে উইকেট কোনোই ব্যাপার নয়। যে কোনো উইকেটেই ঝড় তুলতে সক্ষম তারা। ইনসুইং, আউটসুইং, কাটার-স্লোয়ারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানোর কাজটা ভালোই করতে পারেন তারা।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারও এই দুই পেসারের আগুনে বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারলেন না। উইকেট বিলিয়ে দিতে বাধ্য হলেন। দলীয় ১৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারান সাইফ হাসান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে দেন আবিদ আলির হাতে।
এরপর দলীয় ৩৩ রানের মাথায় হাসান আলির এলবিডব্লিউর শিকার হন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। দুই ওপেনারের ব্যাট থেকেই এসেছে সমান ১৪টি করে রান।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান