মেসির ফাইনাল দুঃস্বপ্নের ইতি নাকি আবারও হলুদ উৎসব?
মেসির ফাইনাল দুঃস্বপ্নের ইতি নাকি আবারও হলুদ উৎসব?
একমাস ও ২৭ ম্যাচ পর এলো সে মাহেন্দ্রক্ষণ। কোটি কোটি ভক্তের চাওয়া পূর্ণ করে ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ফুটবলের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। রবিবার (১১ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু হবে ম্যাচ। যেখানে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে মেসি কি একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতবেন নাকি মারাকানায় উৎসব করবে ব্রাজিল?
কোন সন্দেহ ছাড়াই বর্তমানের সেরা খেলোয়াড়দের একজন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা জিতেছেন ১০ বার আর চ্যাম্পিয়ন্স লীগ চারবার। ক্লাবের হয়ে এমন সাফল্যা আসলেও জাতীয় দলের শিরোপা সংখ্যায় কেবলই হাহাকার
সাদা-নীল জার্সিতে মেসি প্রথম ফাইনাল খেলেন ২০০৭ সালে ব্রাজিলের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে হারের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আলবিসেলেস্তেদের। এর ২০১৪ থেকে ২০১৬ টানা তিনবছর তিন ফাইনাল খেলে আর্জেন্টিনা। কিন্তু কোনবারই ভাগ্য সহায় হয়নি।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপ হারতে হয় মারিও গোটসের শেষ মুহুর্তের গোলের। পরের দুইবছর কোপার শিরোপা হারায় চিলির কাছে টাইব্রেকারে। ফাইনাল হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন মেসি। তবে নিজের স্বপ্ন পূরণে আবারও ফেরেন অবসর ভেঙে।
মেসির সামনে আবারও সুযোগ আসলো শিরোপা হাতে নেয়ার। আলবিসেলেস্তেদের ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর চেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে তাই মেসির সুখ-দুঃখ। এবারের কোপা আমেরিকা শুরু আগেই যেমন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ বলেন আমাকে সুযোগ দিন। আমি মেসিকে কাপ জেতাতে চাই। সেমিফাইনালে তিনটি টাইব্রেকার শট ঠেকিয়ে সে কাজটা ঠিকই করেন অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক।
অন্যদিকে ব্রাজিলের হয়ে একটি কনফেডারেশন কাপ জিতলেও কোপা বা বিশ্বকাপ হাতে নিতে পারেননি নেইমার। এবার তার সামনেও সুযোগ থাকছে সে স্বাদ নেয়ার। যে ফর্মে আছেন তাতে প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার হতে চলা মেসির সাথে হবে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। দুজনের ব্যক্তিগত সু-সম্পর্ক থাকলেও মাঠে নিশ্চয়ই কেউ কাউকে ছাড় দিবেন না।
নিজেদের ফর্ম ও ইতিহাস কিন্তু বলছে ব্রাজিলের পক্ষেই। ১৯৩৭ সালের কোপা আমেরিকায় প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচটি জিতেছিল আর্জেন্টিনা। তারপর থেকে আর কোন ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারেনি ব্রাজিল। তারমধ্যে রয়েছে ২০০৪ ও ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকা ও ২০০৫ সালের কনফেডারেশন কাপ।
এছাড়া নকআউট পর্বে গত ছয়বারের সাক্ষাতে প্রত্যেকবার জিতেছে ব্রাজিল। এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১০৭ বার মুখোমুখি হয়েছে দুদল। যেখানে সেলেসাওরা জিতেছে ৪২টি ও আলবিসেলেস্তারা ৪০টিতে। ড্র হয়েছে ২৫ ম্যাচ। শেষবার নকআউট পর্বে ব্রাজিল হেরেছিল ১৯৯১ সালে। যে বছর আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতেছে।
এছাড়া শেষবার কোন স্বীকৃত ম্যাচে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে হারিয়েছিল ২০০৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজের মাঠ বুয়েন্স এইরেসে। রিকুয়েলমের গোলে ম্যাচটি ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল আলিবিসেলেস্তারা।
২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে এসেছেন মেসিরা। তারমধ্যে ইতিহাস কথা বলছে তাদের বিপক্ষেই। তবে চাইলে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে আর্জেন্টিনা। কারণ ২০১৯ সালের সর্বশেষ সাক্ষাতে যে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে আলবিসেলেস্তারাই। সে ম্যাচের নায়ক মেসি নিশ্চয়ই চাইবেন আসন্ন ফাইনালেও এমন কিছু করতে। যে মারাকানায় ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের স্বপ্ন ভেঙেছিল সে মারাকানাতেই চাইবেন মুখের হাসি ফেরাতে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান