কানাডার স্বপ্নভঙ্গ করে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
কানাডার স্বপ্নভঙ্গ করে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
অবশেষে কোপা আমেরিকার চলতি আসরে গোলের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে এনজো ফার্নান্দেজের অ্যাসিস্টে স্কোর সিটে নাম লেখান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এর আগে প্রথমার্থে গোল করেছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ।
এতে ২-০ গোলে কানাডাকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ আট আসরে এটি আলবিসেলেস্তেদের ষষ্ঠ ফাইনাল। আগামী সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে কলম্বিয়া-উরুগুয়ের ম্যাচের জয়ীদের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শক্তি, সামর্থ্য, পরিসংখ্যান, ফিফা র্যাঙ্কিং- কোনো কিছুতে আর্জেন্টিনার ধারে কাছে ছিল না কানাডা। এরপরও দলটির কোচ জেসি মার্শ হুঙ্কার দিয়েছিলেন মেসিদের হারানোর। প্রথম ১০ মিনিটে আর্জেন্টাইন রক্ষণে হানাও দেয় তারা।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১০ জুলাই) সকালে নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৫ এবং ৭ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জ্যাকব শাফেলবার্গের দুই শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রতিপক্ষের পোস্টে প্রথম শট নেয় তারা। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে কানাডার বক্সের কাছে এসে মেসিকে পাস দেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
২৩ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে গোল উপহার দেন আলভারেজ। মাঝমাঠ থেকে বাতাসে ভাসিয়ে তার উদ্দেশ্যে থ্রু পাস দেন রদ্রিগো ডি পল। কানাডিয়ান দুই ডিফেন্ডার অ্যালিস্টার জনস্টন ও ময়েস বোম্বিতোর মাঝখান দিয়ে বেরিয়ে, অনেকটা ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান ম্যানসিটির এ স্ট্রাইকার। চলতি কোপায় এটি তার তৃতীয় গোল।
এর আগে কানাডার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও গোল করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া উরুগুয়ের ডিয়েগো ফোরলান, ব্রাজিলের রোমারিও ও সতীর্থ মেসির পর চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট এবং বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করার অনন্য কীর্তি গড়েছেন এ ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। ডি মারিয়া কানাডার বক্সে বল ফেললে তা ডামি করেন আলভারেজ। এতে বল পেয়ে যান মেসি। তার শট বাঁ-পাশের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে পেয়ে যান এবারের কোপায় তার প্রথম গোল। ৫১ মিনিটে ডি পল কাট ব্যাক করে বল দেন ডি বক্সে। সেখানে কানাডার এক ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও তা চলে যায় ডি বক্সের মাথায় দাঁড়ানো এনজো ফার্নান্দেজের কাছে।
চেলসি মিডফিল্ডারের শটে শুধু পা ছুঁইয়ে শেষ কাজটুকু করেন মেসি। যদিও অফসাইডের অভিযোগ তোলেন কানাডিয়ানরা। তবে ভিএআরে ভিডিও রিপ্লে দেখে গোল বহাল রাখেন রেফারি মাসা। এতে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ব্রাজিলের জিজিনিও’র পর ইতিহাসের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে কোপার ছয়টি ভিন্ন আসরে গোল করলেন ইন্টার মায়ামি তারকা।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন কানাডার বড় তারকা আলফানসো ডেভিস। ৮৯ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় তানি ওলুয়াসারির শট দুর্দান্তভাবে পা দিয়ে আটকে গিয়ে নিশ্চিত গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে ২০২১ সালে কোপা জয়ের পর, কাতারে ২০২২ সালে বিশ্বকাপও জেতে লা আলবেসিলেস্তেরা। স্পেনের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে টানা তিনটি আন্তর্জাতিক মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের হাতছানি আর্জেন্টিনার।
এবার কলম্বিয়া অথবা উরুগুয়ের বিপক্ষে ফাইনালের ধাপ পাড়ি দিতে পারলেই অনন্য এ কীর্তিতে নাম উঠবে মেসি-ডি মারিয়াদের।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান