উড়তে থাকা সিটিকে মাটিতে নামালো টটেনহাম
উড়তে থাকা সিটিকে মাটিতে নামালো টটেনহাম
ধারাবাহিক জয়ে প্রিমিয়ার লিগের চূড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। ২৫ ম্যাচ পর তো সিটিকেই শিরোপাজয়ী হিসেবে দেখছিলেন অনেকে। তবে পেপ গার্দিওলাদের হারিয়ে সে লড়াই জমিয়ে দিয়েছে টটেনহাম।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে দ্বিতীয়বার সমতায় ফিরল ম্যানচেস্টার সিটি। তাতে হাতের মুঠো থেকে জয় ফসকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো টটেনহ্যাম হটস্পারের। কিন্তু হতাশ না হয়ে দারুণ উদ্যম নিয়ে ফের ঝাঁপিয়ে পড়ল তারা। যোগ করা সাত মিনিটের পঞ্চম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করলেন হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ডের এই ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে জমজমাট লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল আন্তোনিও কন্তের দল।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারী ম্যান সিটি ৩-২ গোলে হেরেছে টটেনহ্যামের কাছে। আসরে এটি তাদের কেবল তৃতীয় হার। লিগে তাদের শেষ হারটি ছিল গত অক্টোবরে, ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে। এরপর টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। এবার সেই যাত্রায় পড়ল ছেদ।
দারুণ উপভোগ্য ম্যাচের ফয়সালা হয়েছে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায়। দেয়ান কুলুসেভস্কি ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে টটেনহ্যামকে এগিয়ে দেওয়ার পর ৩৩তম মিনিটে সিটির হয়ে গোল শোধ করেন ইল্কাই গুন্দোয়ান।
বিরতির পর ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে কেইনের গোলে ফের এগিয়ে যায় সফরকারীরা। এরপর মাহরেজ স্পট-কিক থেকে স্বাগতিকদের আবার সমতায় ফেরান। ডি-বক্সের ভেতরে ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর হাতে বল লাগলেও রেফারির চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল শুরুতে। পরে ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলে আসে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের। কেইনের আরেকটি লক্ষ্যভেদে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পার্সরা।
এবারের লিগে ম্যান সিটির সঙ্গে আগের দেখাতেও জিতেছিল টটেনহ্যাম। সেটাই ছিল চলমান মৌসুমে দুই দলের প্রথম ম্যাচ।
বরাবরের মতো বল পায়ে রেখে আক্রমণ চালায় সিটিজেনরা। ৭২ শতাংশ সময়ে বল ছিল তাদের দখলে। আগের দুই ম্যাচে ৯ গোল করা দলটি তৈরিও করে একগাদা সুযোগ। কিন্তু গোলমুখে গিয়ে বারবার দিশা হারিয়ে ফেলছিল তারা। তাদের নেওয়া ২১টি শটের কেবল ছয়টি ছিল লক্ষ্যে।
অন্যদিকে, কন্তের শিষ্যরা খেলে পাল্টা-আক্রমণ নির্ভর কৌশলে। রক্ষণ জমাট রেখে দক্ষিণ কোরিয়ার হিউং-মিন সন ও কেইনের গতির ওপর আস্থা রাখে দলটি। প্রতিদানও তারা দেন দারুণভাবে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন সুইডেনের কুলুসেভস্কি। এই ত্রয়ী মিলে কাঁপিয়ে দেন সিটির রক্ষণভাগ।
কুলুসেভস্কি ও কেইনের প্রথম গোলের কারিগর সন। আর কেইনের দ্বিতীয় গোলে বলের যোগান দেন কুলুসেভস্কি। ৭৪তম মিনিটে আরও একবার নিশানা ভেদ করেছিলেন কেইন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে কুলুসেভস্কি অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলে বাতিল হয় গোলটি।
এই হারে লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে কিছুটা ধাক্কা খেল ম্যান সিটি। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করলেও তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুল পেল ব্যবধান কমানোর সুযোগ। ২৬ ম্যাচে সিটির অর্জন ৬৩ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৭। সাতে উঠে আসা টটেনহ্যামের পয়েন্ট ২৩ ম্যাচে ৩৯।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান