শততম টি-টোয়েন্টি জয়ে রাঙালো বাংলাদেশ
শততম টি-টোয়েন্টি জয়ে রাঙালো বাংলাদেশ
১৩ ওভার শেষে দলে স্কোর ছিল ১০১। জেতার জন্য প্রয়োজন ৪২ বলে ৫২। কোন উইকেট না পড়ায় সে মুহুর্তে জয় ছাড়া কিছুই ভাবার কথা নয় কোন দলের। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত এক রানআউট করে সে জয়কে কঠিন করে তুললেন রেগসি চাকাভা।
তবে শেষ পর্যন্ত ১৫৩ রানের লক্ষ্য সাত বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। সে সাথে তিন ফরম্যাটের শততম ম্যাচে জয়ও নিশ্চিত হয়।
১৪ তম ওভারের প্রথম বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে বল ঠেলে দিয়ে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন সৌম্য সরকার। কিন্তু সেটাকে ডাবলে রূপান্তর করতে গিয়ে পড়েন বিপাকে। স্ট্যাস্পের অনেক দূরে দাঁড়ানো চাকাভা না তাকিয়েই বল ছুঁড়ে রানাআউট করেন সৌম্যকে। তাই ৪৫ বলে ফিফটি করেও উদযাপন করা ছাড়াই মাঠ ছাড়েন এই বাঁহাতি ওপেনার।
সৌম্য ফেরার পর ব্যাটিং পজিশন এগিয়ে মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাবলিল ব্যাটিং করে গেলেও আরও এক রানআউটের শিকার হন টি-টোয়েন্টি কাপ্তান।
খুব কঠিন না হওয়া লক্ষ্যও তখন পরিণত হয় ২১ বলে ৩০ রানে। তবে দলকে চাপে ফেলতে দেননি নুরুল হাসান সোহান ও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়া নাঈম শেখ। ৭ বল হাতে থাকতেই ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দুজন।
নাঈম শেখ অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে। তার ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ৬ বাউন্ডারি। আর সোহান অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ১৬ রান করে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয়া জিম্বাবুয়ে প্রথম থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। তবে দ্বিতীয় ওভারেই স্বাগতিকদের ধাক্কা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ে এসেই ছক্কা খেলেও সৌম্যর হাতে ক্যাচ বানান মারুমানিকে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন চাকাভা-মাধেভেরে। এ জুটিতে ৩৮ বলেই আসে ৬৪ রান। কিন্তু মাধেভেরে সাকিবের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিলেও থামে এ জুটি।
পরে শরিফুলের করা দ্বিতীয় ওভারে রানআউট হন চাকাভা। এরপর আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন সিকান্দার রাজা, ডিওন মায়ার্স ও রায়ান বার্লরা।
৭৪ রানে যেখানে ছিল এক উইকেট, সেখান থেকে অলআউট হয় ১৫২ রানে। তারজন্য আলাদা করে কৃতিত্ব দিতে হয় বদলি ফিল্ডার শামিম হোসেন। সাইফুদ্দিনের বলে লং অন দিয়ে বল উড়িয়েছিলেন বার্ল। কিন্তু পাখিরে মতো উড়াল দিয়ে সে বল মুঠোবন্দি করে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী শামিম।
১৯ ওভারে এসে পরপর দুই উইকেট প্রায় নিয়েই ফেলেছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্ত সোহানে বিশ্বস্ত হাত থেকে ক্যাচ ফসকে যাওয়ায় যোগ হয় আরও ৮ রান।
টাইগারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর। দুটি করে উইকেট সাইফুদ্দিন ও শরিফুলের। আর সাকিব ও সৌম্য নিয়ে একটি করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১৫২: রেগিস চাকাভা ৪৩ (২২), ডিওন মায়ার্স ৩৫ (২২), ওয়েসলে মাধেভেরে ২৩ (২৩)। মোস্তাফিজ ৩১-৩, সাইফুদ্দিন ২৩-২, শরিফুল ইসলাম ১৭-২।
বাংলাদেশ ১৫৩-২: নাঈম শেখ ৬৩* (৫১), সৌম্য সরকার ৫০ (৪৫) ও নুরুল হাসান ১৬* (৮)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সৌম্য সরকার
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান