শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

২০২০, রাজপথের রাজনীতির গৃহচালিত রূপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৩:০৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

আপডেট: ১৩:৫১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

১১২৫

২০২০, রাজপথের রাজনীতির গৃহচালিত রূপ

রাজনীতির অন্যতম উচ্চারিত শব্দ রাজপথ। যে কোনো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে রাজনীতিকরা বলেন, 'দেখা হবে রাজপথে'। কিংবা রাজপথ ছাড়ি নাই, নেতা/নেত্রী তোমার ভয় নাই' রাজনীতির আরেক শব্দ মাঠে। কথায় কথায় রাজনীতির মাঠ শব্দটি উচ্চারিত হয়। আর এই দুটি শব্দই বাস্তবরূপের প্রয়োগ, কোনোভাবেই ভাববাচক নয়। কিন্তু ২০২০ এই রাজপথ ও রাজনীতির মাঠে রাজনীতিবিদদের নামতে দেয়নি। বছরের শুরুতেই শুরুতেই দেখা দেয় কোভিড-১৯ মহামারী। আর তাতে জীবন বাঁচাতে রাজনীতিকরা হয়ে পড়েন ঘরবন্দি। আর রাজনীতি হয়ে পড়ে গৃহচালিত।

মিটিং- মিছিল, সমাবেশ আর জনসংযোগের চেনা দৃশ্যগুলো হয়ে যায় উধাও। মার্চে করোনার বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর যে কোনো সমাবেশের উপর আসে নিষেধাজ্ঞা। রাজনৈতিক নেতারা ঘরে থেকে বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েন। জুন মাসে অবরুদ্ধ অবস্থার বিধি-নিষেধ শিথিল হলে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়তে থাকলেও তা চেনা দৃশ্যে ফেরেনি। রাজপথ ছেড়ে বাধ্য হয়েই সভা-ওয়েবিনার নিয়ে ভার্চুয়াল জগতেই ব্যস্ত আছেন রাজনীতিবিদরা।

তবে বিপদগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীদের তৎপরতা অব্যাহত আছে। অন্য সব নির্বাচন বন্ধ থাকলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণ দেখিয়ে সংসদের কয়েকটি আসনের উপনির্বাচন ও বছর শেষের ২৪ পৌরসভার ভোট কিছুটা আমেজ তৈরি করে। তবে শীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রাজনীতির মাঠ স্বাভাবিকে কবে ফিরবে, তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।
আওয়ামী লীগ
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বছরের শুরুতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হোঁচট খায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সেটি হলো করোনার কারণে বদলে যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর আয়োজনসহ আওয়ামী লীগের সব আয়োজন-পরিকল্পনা। সেইসাথে থমকে যা্য় দল গোছানোর কিছু পরিকল্পনাও।

সম্মেলনের পর বছরের শুরুতে ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি প্রথম যৌথসভায় বসে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। ওইদিন সভা মুলতবি রাখা হয়। পরদিন গণভবনে আবার সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর কিছুদিন পর ৮ মার্চ শনাক্ত হয় দেশেকরোনা অতিমারির প্রথম সংক্রমন।

প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের কারণে শুরুর দিকে অন্যান্য সবকিছুকে একপাশে সরিয়ে মানুষের পাশে দাাঁড়ানোতেই দলের মূল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে দেখা গেছে। সে সবের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। টানা লকডাউনে নিম্নবিত্ত ও সম্বলহীন মানুষের ঘরে ঘরে জরুরি ত্রাণ নিয়ে ছুটে যান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে করোনায় ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষককে সহায়তা করতে ধান কেটে দিতে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।  
করোনায় প্রাণ হারান দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, সাহারা খাতুন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটির সাবেক মেয়র বদরউদ্দীন আহমদ কামরান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও সাবেক এমপি হাজী মকবুলসহ সারা দেশের ৫২২ নেতাকর্মী।
নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো ১৫ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সে আসেন। করোনায় ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও সীমিত কর্মসূচিতে পালিত হয়। সভা-সমাবেশের মতো কর্মসূচির বদলে অনলাইনে বিভিন্ন দিবস ও সামসাময়িক বিষয় নিয়ে বছরজুড়ে ওয়েবিনার করে আওয়ামী লীগ। এসব ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

ঠিক একবছর আগে আনুষ্ঠিত ২১ দলীয় কাউন্সিলের পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংগঠিক কাজ এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। করোনার কারণে শুরুতে কাজগুলো সম্ভব না হলেও পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির সাথে সাথে সেপ্টেম্বর থেকে সাংগঠনিক কাজেও গতি আসে।

স্বাস্থ‌্যবিধি মেনে ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় দলের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক। ৩ অক্টোবর সীমিত আকারে কার্যনির্বাহী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরদিন সম্মেলনের ১০ মাসের মাথায় ৮ বিভাগে নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজও সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন‌্য কয়েকটি পদ পূরণ করা হয়। বছরের শেষদিকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন দুজন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয় নির্বাচনগুলোয় বিদ্রোহী প্রার্থী কিছুদিন ধরেই দলের বিশেষ মাথাব্যথার কারণ। গত ২৮ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেটি হলো বিদ্রোহী প্রার্থীদের আর কখনো নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বিদায়ী বছরটিতে ১০টি সংসদীয় উপনির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিয়েও বিজয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

বছরের শেষে ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক শক্তির অবস্থান ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননার ইস‌্যুতে জোরালোভাবে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। বলা চলে শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদে সোচ্চার হতে সেই রাজপথই ব্যবহার করে দলটি। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব ধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশে সক্রিয় হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা।

বিএনপি
প্রতিষ্ঠার ৪২ বছরের মাথায় করোনার এই বছরে কেমন আছে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি? সার্বিক বিষয়াদি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, শুরুর দিকে পুরোপুরি নিস্তব্ধ সময় পার করেছে দলটি। এতে দলের অন্যতম সুহৃদ, নির্বাচনপূর্ব ঐক্যের অংশীদার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলতে বাধ্য হয়েছিলন, বিএনপি করোনাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি অনেকটা তেমনই ছিলো। কারণ প্রথম ছয় মাসে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশে ছড়িয়ে পড়া মহামারির ক্ষেত্রে সাধারনের পাশে দাঁড়ানোর কাঙ্খিত ভূমিকায় বিএনপিকে দেখা যায়নি। পরের দিকে কিছুটা সক্রিয় হলেও কাজগুলো ছিলো এলোমেলো, অগোছালো। তবে শেষের দিকে এসে কিছুটা হলেও সক্রিয় দেখা গেছে বিএনপিকে।

যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বারবার দাবি করে আসছেন, বিএনপি অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় সাংগঠনিকভাবে বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। তাদের প্রতিপক্ষ দুইটি, একটি ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকার, অন্যটি অদেখা শত্রু করোনাভাইরাস। এই দুইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা বছর পার করেছেন। দলটি আরও দাবি করছে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলসহ সব পর্যায়ে কমিটি গঠনের কাজ করেছে। এখনও সেই প্রক্রিয়া চলমান।

২০১৯ সালে বিএনপির কর্মসূচি ঘুরপাক খাচ্ছিল দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি নিয়ে। জোরাল কোনো কর্মসূচি না থাকলেও কর্মীদের চাপ ছিল। সমস্যায় ভুগছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ২০২০ এ এসেও তারই ধারাবাহিকতব লক্ষ্য করা যাচ্ছিলো। তবে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম দিকেই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আকস্মিকভাবেই সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তখন থেকেই তিনি তার গুলাশানের বাড়ি ফিরোজাতে্ই রয়েছেন। শীর্ষ নেতারা দুই ঈদে তার সাক্ষাৎ পেলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পূর্ণভাবে তিনি অনুপস্থিত।

এদিকে, বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমও তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান তৃণমূল পর্যায় থেকে কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম সরাসরি তদারক করছেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে।

এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির অভ্যন্তরে নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবর মাঝেমাঝে আসছে। এর মধ্যে বছরের শেষভাগে দুই ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে শোকজ নোটিস দেওয়া ছিল আলোচিত।

এই মহামারিতে বিএনপি হারিয়েছে সামনের সারির কয়েক নেতা। গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ নিউমোনিয়াজনিত সমস্যায় মারা যান। এছাড়া দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এ কে এম মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি মারা যান।
জাতীয় পার্টি
দেশের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলীয় কাণ্ডারী এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর দলীয় কর্মকাণ্ড অনেকটাই ম্লান। বছরের শুরুতে কাউন্সিলের পর তৃণমূল শক্তপোক্ত করার কাজ শুরুর কথা থাকলেও্ মহামারিতে সেটি থমকে যায়। যতটুকু আলোচনা তাতে দলের অভ্যন্তরের কোন্দল, জটিলতা সংক্রান্ত। দলীয় কাউন্সিলে মহাসচিব হয়েছিলেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। কিন্তু জুলাই মাসে মহাসচিব পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। দায়িত্বে আসেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সম্প্রতি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলছেন, করোনার শঙ্কা মাথায় নিয়েই দল এগিয়ে যাচ্ছে। সবকিছুর মধ্যেই সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শক্তিশালী করার কাজটি এগিয়ে নেওয়াই দলীয় লক্ষ্য।

গণফোরাম
২০১৮ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের আলোচিত রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের প্রতিষ্ঠিত গণফোরামের কোনো আঁচ দেখা যায়নি এই মহামারির বছরে।

কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে বিভেদ দেখা দেয় বছরের শুরুতে। এক পক্ষে নেতৃত্বে কামাল হোসেন ও রেজা কিবরিয়া। অন্য পক্ষে মোস্তফা মহসিন মন্টু, আবু সাইয়িদ ও সুব্রত চৌধুরী। তবে বছর শেষে এসে কামাল হোসেন আবার দুই পক্ষকে এক করার উদ্যোগ নেন।

সবশেষ ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামালের বাসভবনে গণফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই বর্ষীয়ান আইনজ্ঞ দাবি করেন, দলে কোনো সমস্য নেই এবং তার দলে যারা ছিলেন তারা সবাই থাকবেন। যদিও সেদিন গণফোরামের তিন শীর্ষ নেতা রেজা কিবরিয়া, সুব্রত চৌধুরী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন। সেদিন আগামী ৯ জানুয়ারির পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিল বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।  

অনান্য
অন্য সব দলের মতো সিপিবি, বাসদসহ বাম দলগুলোর তৎপরতা ঘরোয়া বৈঠক, মানববন্ধনে সীমিত ছিল। পাটকল বন্ধের প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলগুলো মাঠে নামে। ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনেও অত্যন্ত সক্রিয় ছিল দলগুলো।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় এলেও তা এখনও প্রকাশ্য হয়নি। তবে কয়েকটি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
হেফাজতে ইসলাম
ফরাসি সাময়িকীতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের পর তা কেন্দ্র করে রাজপথে সক্রিয় হয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। আর তার মধ্য দিয়ে ইসলামী দলগুলোর সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা দেখা যায়। এর মধ্যে হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতের মধ্যে বিভাজন দেখা দিয়েছে। দলটি এ পর্যন্ত তিনটি পৃথক কমিটি ঘোষণা করেছে।

বছরের শেষ ভাগে এসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতায় বিতর্কিত ভূমিকা দেখা যায় হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন নেতার। তা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সারাধারণ মহলে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ঝড় তোলে। কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)

আরও পড়ুন

Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
বিশেষ সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত