নড়াইলের সাদাত জয় করলো বিশ্ব শিশু শান্তি পুরস্কার
নড়াইলের সাদাত জয় করলো বিশ্ব শিশু শান্তি পুরস্কার
সাইবার জগতে শিশুদের সাথে কত অন্যায় হয়, সেসবে বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে, প্রয়োজনে রুখে দাঁড়াচ্ছে সাদাত রহমান। সে নিজেও একজন টিনেজার। জাতিসংঘের ইউনিসেফের সংজ্ঞা অনুযায়ী শিশুও বটে। বয়স ১৭। এই সাদাতই এবার জয় করেছে সম্মানজনক বিশ্ব শিশু পুরস্কার।
পুরস্কারের নাম কিডসরাইটস ২০২০। যেটি আন্তর্জাতিকভাবে শিশুদের শান্তি পুরস্কার হিসেবেও খ্যাত।
টিনেজাররা অনলাইনে কোনো ধরনের ক্ষতির কিংবা অপরাধের (সাইবার বুলিং) শিকার হলে যাতে তা জানাতে পারে সে লক্ষে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করার কারণেই পুরস্কারটি জয় করলো নড়াইলের ছেলে সাদাত রহমান।
এ পুরস্কার জয়ীদের তালিকায় রয়েছে নোবেল জয়ী পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার জন্য লড়াকু হিসেবে বিশ্বখ্যাত মালালা ইউসুফ জাই। এছাড়া রয়েছে পরিবেশ আন্দোলনে বিশ্ব পরিচিত গ্রেটা থানবার্গ। এবার সে তালিকায় স্থান করে নিলো বাংলাদেশের সাদাত।
সাদাত রহমানকে অপরাজেয় বাংলার অভিনন্দন।
এই পুরস্কারের মূল্যমান ১০০,০০০ ইউরো। যা অ্যাপটি আরো এগিয়ে নিতে ব্যয় করবে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এএফপি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে সাদাত। ধীরে ধীরে এই অ্যাপভিত্তিক সেবাটি গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার।
এর আগে সাদাত রহমান বাংলাদেশে তরুণদের জন্য ঘোষিত পুরস্কার জয়বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড জয় করে। নড়াইলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অনন্য অবদানের জন্য সে পুরস্কারে ভূষিত হয় সাদাত রহমান।
নেদারল্যান্ডভিত্তিক কিডসরাইটস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শুক্রবার নেদারল্যান্ডের হেগে এক অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কর্মী ও নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই সাদাত রহমানের নাম ঘোষণা করে তার হাতে বিজয়ীর পুরস্কার তুলে দেন। করোনা ভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল স্ট্রিমিং হয়।
ফাইনালে সাদাতের নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো মেক্সিকোর মেয়ে ইভানা ওর্তেগা, ১২ এবং আইরিশ সিয়েনা ক্যাস্টেলন, ১৮। ইভানা পানি দুষণের বিরুদ্ধে লড়ছে, আর সিয়েনা অটিস্টিক শিশুদের অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার একটি ওয়েবসাইট বানিয়েছে।
সাদাত রহমানের তৈরি অ্যাপটির নাম ‘সাইবার টিনস’ যার মাধ্যমে যে কোনো টিনেজার তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন বুলিংয়ের ঘটনা ঘটলে রিপোর্ট করতে পারে। এবং তথ্য পেলে সাদাতসহ তার দলের সদস্যরা তাকে বা তাদের সহায়তায় এগিয়ে যায়। দলের সদস্যরা নড়াইল ভলান্টিয়ার্স নামেই পরিচিত।
অ্যাপটিতে কিভাবে টিনেজাররা এ ধরনের অপরাধীদের থেকে মুক্ত থাকতে পারবে তার টিপসও দেওয়া রয়েছে। এ পর্যন্ত এই অ্যাপটি ১৮০০ বার ডাউনলোড হয়েছে। আর সাদাত তার দল অন্তত ৬০ জনকে তাদের সহায়তা দিয়েছে। তাদের ততপরতার কারণে যৌন নিপীড়ণকারী ৮ অপরাধীকে গ্রেফতার করাও হয়েছে।
সাদাত জানিয়েছে, ১৫ বছরের একটি মেয়ে অনলাইনে যৌন নিপীড়ণের শিকার হওয়ার পর আত্মহত্যা করলে তার মাথায় বিষয়টি আসে এবং অ্যাপটি তৈরি করে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- নর্ড স্ট্রিম ২ কী? কেন এটি নিয়ে এত বিতর্ক? পর্ব ১
- বিশেষ সাক্ষাৎকার
`চিকিৎসা সম্ভব, সমাজে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ বলে কেউ থাকবে না` - চিড়িয়াখানায় অজগরের খাঁচায় জীবিত খরগোশ গুনছিলো মৃত্যুর ক্ষণ
- মগবাজারে বিস্ফোরণে অপরাজেয় বাংলার সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদক আহত
- যশোরে মিঠা পানিতে নোনা ট্যাংরার বাণিজ্যিক চাষ
- ১৪১ বছরের পুরনো পাগলা গারদে পাগল হওয়ার দশা!
- পাহাড়ি জঙ্গলে এলাচের বন, সবুজ গুটিতে স্বপ্ন ভাসে ওমর শরীফের
- করোনায় দৃশ্যমান স্বেচ্ছাসেবার শক্তি
- মেয়েটি দেখতে ভীষণ সুন্দর ও মেধাবী, তবে ভারতীয়
কৈশোরেই ব্রিটেনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক বাঙালি নারীর গল্প - স্বচ্ছতা, বিশ্বস্ততা সোনালী লাইফকে পৌঁছে দিয়েছে নতুন উচ্চতায়: রাশেদ আমান