লেডিস সার্কল বাংলাদেশ`র মেডিকেল ক্যাম্প
শিশুরা হেসেছে দাঁত মেলে, প্রাণ খুলে
লেডিস সার্কল বাংলাদেশ`র মেডিকেল ক্যাম্প
শিশুরা হেসেছে দাঁত মেলে, প্রাণ খুলে
লেডিস সার্কল বাংলাদেশ’র মেডিকেল ক্যাম্প |
ছবিতে শিশুরা কেউ হাসছে দাঁত মেলে, প্রাণ খুলে। কেউ কেউ মুখ টিপে মুচকি হাসিতে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভালোলাগার ভঙ্গি। ওদের চোখে মুখে খেলে যাচ্ছে আনন্দের আভাস। শিশুগুলোর মুখে ঠিক এমন হাসিই ফোটাতে চেয়ছিলো লেডিস সার্কেল বাংলাদেশ। আর ফুটিয়েছেও।
এরা সবাই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আঞ্জুমান গার্লস অরফানেজের বাসিন্দা। বলাবাহুল্য ওরা অনাথ। কেউ বাবাকে হারিয়েছে, কেউ মাকে। কেউবা দুজনকেই। কিন্তু ওরা মোটেই নয় অভিভাবকশুণ্য। ওদের জন্য ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে লেডিস সার্কেল বাংলাদেশ।
গত ১৩ নভেম্বর (শনিবার) এই শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিলো বিশেষ চিকিৎসা সুবিধার। আঞ্জুমান রুখসানা হুদা গার্লস হোমে বসানো হয়েছিলো বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প।
সেদিন লেডিস সার্কেল বাংলাদেশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই মেয়ে শিশুদের চিকিৎসা দিতে এসেছিলেন দুই জন চিকিৎসক। তারা হলেন- জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা. সানজিদ স্বর্ণা ও ডেন্টাল কনসালট্যান্ট ডা. প্রহেলিকা হাসান।
ডা. সানজিদা প্রত্যেকটি শিশুর শারীরিক সাধারন রোগ-বালাইগুলোর জন্য চেক-আপ করেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দেন। আর ডা. প্রহেলিকা সবক'টি শিশুর দাঁত পরীক্ষা করেন। পরখ করে দেখেন ওদের মুখের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা।
শুধু যে স্বাস্থ্যসেবা তা নয়, একই সঙ্গে শিশুরা পেয়েছে বিশেষ গিফট বক্স। যাতে ছিলো দাঁতের যত্নের জন্য পেস্ট-ব্রাশ। সাধারন রোগ-বালাই যেমন শিশুদের ডায়রিয়া ইত্যাদি হলে জরুরি প্রয়োজনীয় ওর স্যালাইন। এছাড়াও ছিলো ভিটামিন-সি ট্যাবলেট ও বিস্কুট।
চিকিৎসা ছাড়াও এই দুই চিকিৎসক শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের রোগ-বালাই থেকে নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সে সম্পর্কে সচেতন করেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা লেডিস সার্কল ইন্টারন্যাশনাল-এলসিআই'র বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এই লেডিস সার্কল বাংলাদেশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বন্ধুত্ব ও সেবার ব্রত নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করে এলসিআই। এলসিবি তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৩ নভেম্বরের এই বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প।
প্রায় শত বছরের প্রতিষ্ঠান এই লেডিস সার্কল ইন্টারন্যাশনাল। ১৯৩২ সালে যুক্তরাজ্যে এর যাত্রা শুরু। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই সংস্থাটি তার স্বাস্থসেবা কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যায় হাসপাতালগুলোতে। আহত মানুষের চিকিৎসা ও সেবায় ব্রত হয়। আর পাশাপাশি শুরু করে অনাথ শিশুদের জন্য কাপড় ও খাবার সরবরাহ।
সে সময়ই লেডিস সার্কল ইংল্যান্ডের গণ্ডি ছেড়ে বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য দেশেও তাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়। বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে রয়েছে এলসিআই'র কার্যক্রম। বাংলাদেশে এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধুত্ব ও সেবার নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর মাস্ক বিতরণ, চলতি বছরে বিশ্ব ডিম দিবসে অনাথ শিশুদের জন্য ডিম সরবরাহ, ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা কর্মসূচি ইত্যাদি ছিলো যার মধ্যে অন্যতম।
আগামী ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষে ৪ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আয়োজন করা হবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এছাড়াও থাকবে গোলটেবিল আলোচনা, জানিয়েছে লেডিস সার্কল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- নর্ড স্ট্রিম ২ কী? কেন এটি নিয়ে এত বিতর্ক? পর্ব ১
- বিশেষ সাক্ষাৎকার
`চিকিৎসা সম্ভব, সমাজে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ বলে কেউ থাকবে না` - চিড়িয়াখানায় অজগরের খাঁচায় জীবিত খরগোশ গুনছিলো মৃত্যুর ক্ষণ
- মগবাজারে বিস্ফোরণে অপরাজেয় বাংলার সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদক আহত
- যশোরে মিঠা পানিতে নোনা ট্যাংরার বাণিজ্যিক চাষ
- ১৪১ বছরের পুরনো পাগলা গারদে পাগল হওয়ার দশা!
- পাহাড়ি জঙ্গলে এলাচের বন, সবুজ গুটিতে স্বপ্ন ভাসে ওমর শরীফের
- করোনায় দৃশ্যমান স্বেচ্ছাসেবার শক্তি
- মেয়েটি দেখতে ভীষণ সুন্দর ও মেধাবী, তবে ভারতীয়
কৈশোরেই ব্রিটেনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক বাঙালি নারীর গল্প - স্বচ্ছতা, বিশ্বস্ততা সোনালী লাইফকে পৌঁছে দিয়েছে নতুন উচ্চতায়: রাশেদ আমান