সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৪২০০ কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে পোশাক খাত
সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৪২০০ কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে পোশাক খাত
সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করলে তুলা আমদানির ব্যয় থেকে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা) বাঁচাতে পারবে দেশের তৈরি পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। গ্লোবাল ফ্যাশন এজন্ডার (জিএফএ) এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য ব্যবস্থায়পনায় বিশ্বের বর্জ পুনর্ব্যবহারে জনপ্রিয় রিভার্স রিসোর্সেস ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) নিয়ে একটি প্রকল্প চালু করে জিএফএ। যার নাম ‘সার্কুকাল ফ্যাশন পার্টনারশিপ ’। সম্ভব্যতা যাচাইয়ে করা হয় প্রাথমিক গবেষণা।
ইকোটেক্সটাইল নিউজের প্রকাশিত সে গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৯ সালে তৈরি পোশাক খাত ও কাপড়ের মিলগুলো থেকেই ৫ লাখ ৭৭ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়। তারমধ্যে প্রায় অর্ধেক (২ লাখ ৫৫ হাজার) বর্জই ছিল শতভাগ খাঁটি তুলার।
বাংলাদেশের কারখানগুলি এ পরিমাণ তুলার বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য বাজারে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করতে পারবে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়। যা টেকসই ও বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদনে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। তবে সে বর্জ্যে নিজেরাই পুনর্ব্যবহারযোগ্য করলে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।
কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন প্রতিষ্ঠান সিডিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশে তুলার বার্ষিক চাহিদা ৭৩-৭৪ লাখ বেল। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১ লাখ ৭১ হাজার বেল। ফলে চাহিদার বিপরীতে ঘাটতি থাকা ৭১ লাখ বেল আমদানি করতে হচ্ছে। যাতে ব্যয় হয় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার (২৯ হাজার ৬০০ কোটির বেশি)। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই আমদানি প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছে জিএফএ।
সার্কুকাল ফ্যাশন পার্টনারশিপ ও জিএফএর মতে, যদি তুলার বর্জ্য শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয় তবে তুলা আমদানি কমবে ১৫ শতাংশ। যার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার (৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা)।
রিভার্স রিসোর্সের প্রধান প্রকল্প কর্মকর্তা ও রিসাইক্লিং বিভাগের প্রধান নিন ক্যাসল বলেন, “যেকোন পোশাক উত্পাদনকারী দেশের চেয়ে বেশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল বর্জ্য উত্পাদন করে বাংলাদেশ। বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে প্রয়োজনীয় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কাঁচামাল আমদানি কমাতে পারবে দেশটি। “
সার্কুকাল ফ্যাশন পার্টনারশিপের লক্ষ্য, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৪০ টি তৈরি পোশাক কারখানা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পোশাক কারখানগুলোতে তুলার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “পৃথিবী এখন কঠিন সময়ের মধ্য দেয় যাচ্ছে। অর্থনীতির গতিপথ বদলে যাচ্ছে। আমরা তাই উদাসীন থাকতে পারিনা। আমাদেরকে অর্থনীতির লিনিয়ার (একমুখী) মডেল ছেড়ে সার্কুলার মডেল গ্রহণ করতে হবে, আর এটাই হলো ভবিষ্যত। আমাদের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সাথে সাথে আমরা এই ঘাটতি কমিয়ে আনবো।”
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- নর্ড স্ট্রিম ২ কী? কেন এটি নিয়ে এত বিতর্ক? পর্ব ১
- বিশেষ সাক্ষাৎকার
`চিকিৎসা সম্ভব, সমাজে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ বলে কেউ থাকবে না` - চিড়িয়াখানায় অজগরের খাঁচায় জীবিত খরগোশ গুনছিলো মৃত্যুর ক্ষণ
- মগবাজারে বিস্ফোরণে অপরাজেয় বাংলার সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদক আহত
- যশোরে মিঠা পানিতে নোনা ট্যাংরার বাণিজ্যিক চাষ
- ১৪১ বছরের পুরনো পাগলা গারদে পাগল হওয়ার দশা!
- পাহাড়ি জঙ্গলে এলাচের বন, সবুজ গুটিতে স্বপ্ন ভাসে ওমর শরীফের
- করোনায় দৃশ্যমান স্বেচ্ছাসেবার শক্তি
- মেয়েটি দেখতে ভীষণ সুন্দর ও মেধাবী, তবে ভারতীয়
কৈশোরেই ব্রিটেনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক বাঙালি নারীর গল্প - স্বচ্ছতা, বিশ্বস্ততা সোনালী লাইফকে পৌঁছে দিয়েছে নতুন উচ্চতায়: রাশেদ আমান