মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ক্লিনারের পদত্যাগের যে চিঠি মানুষকে ভাবতে শিখিয়েছে

সাতরং ডেস্ক

১১:৪৯, ৬ মে ২০২১

আপডেট: ১১:৫২, ৬ মে ২০২১

১১৬৮

ক্লিনারের পদত্যাগের যে চিঠি মানুষকে ভাবতে শিখিয়েছে

নিজের বসের কাছে পদত্যাগপত্রের সাথে একটি চিঠি দিয়েছিলেন এক ক্লিনার। সে চিঠি ছড়িয়ে যায় টুইটারে। অনেকে এ বিষয়ে তাকে সমর্থন দিয়েছে আবার অনেকে জানিয়েছে তারা চিঠিটি পড়ার পর নতুন করে ভাবতে শিখেছে। 

গত ৩৫ বছর ধরে এইচএসবিসিতে ক্লিনারের কাজ করতেন জুলি কাজিন্স। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল তিনি নিজের চাকরি থেকে ইস্তফা নেন। তাকে পরানো পোশাককে নিজের চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে জানান এই ৬৭ বছর বয়সী। ঠিক কি ধরনের পোশাক তাকে পরতে দেয়া হয়েছিল তা জানানো হয়নি। 

যুক্তরাজ্যের সাউদাম্টনের এইচএসবিসি ম্যানেজারকে লেখা সে চিঠিতে জুলি কাজিন্স লেখেন, “আগামীকাল আমার এইচএসবিসি পরিষ্কার করার শেষ দিন। আমি যাওয়ার আগে পরিষ্কার করার জিনিসগুলো পরবর্তী ক্লিনারের জন্য একটি বক্সে রেখে যাব। 

আমি এই চাকরি ছাড়ছি কারণ আপনি আমাকে যে পোশাক পরিয়েছেন তা একরকম নিষ্ঠুর। যা আমার চরিত্র প্রকাশ করেনা বরং আপনার চরিত্র প্রকাশ করে। যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলতে চাই, এটা এমন এক পৃথিবী যেখানে যে কেউ যে কোনো কিছু হতে পারে। সুতরাং বিনয়ী হোন। কারণ আপনিও একজন ক্লিনারের চেয়ে ভালো কিছু নন। ”

দ্য মেইলের কাছে সে নারী জানান, অনেক মানুষের কাছে হয়তো এটা খুবই ছোট কাজ। তবে এই চাকরিই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, ক্লিনারদের কথা অধিকাংশ সময় অফিসের কেউ মনেই রাখে না। 

কাজিন্স জানান, এইচএসবিসির ম্যানেজারের সাথে তার অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। যদিও অফিসের অন্যান্যদের সাথে কাজ করতে তিনি স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন। এই ঘটনায় এইচএসবিসি থেকে বলা হয়, আমরা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে এটা খতিয়ে দেখছি। 

জুলি কাজিন্সের চিঠিতে তার ছেলে টুইটারে পোস্ট করে মাকে সাধুবাদ জানায়। তারপরই তা রিটুইট হতে থাকে এবং অনেকে সমর্থন দিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরে। 

সোনিয়া হ্যারিস নামের একজন লেখেন, আমার বাবা একটি স্কুলে ৩০ বছর কেয়ারটেকারে দায়িত্বে ছিলেন। অনেক সময় তার সঙ্গে বাজে আচরণ করা হয়েছে। আমি যখন শিক্ষকতা শুরু করেছি তখন পন করেছি কথনও স্টাফদের সাথে খারাপ আচরণ করবোনা। 

টাইগার টিম নামের একজন লেখেন, আমি যখন চাকরি জন্য কারও সাক্ষাৎকার নেই তখন রিসেপমনে জিজ্ঞেস করি তার সাথে কেমন ব্যবহার করা হয়েছে। অনেকেই এই আচরণ পরীক্ষায় ফেল করে। 

আবার অনেকে লেখেছেন, সবার উচিত কাজের জায়গায় ক্লিনার ও সাপোর্টিং স্টাফদের সাথে কথা বলা। তাদের নিচু স্তরের না ভেবে সহকর্মী হিসেবে মনে করা।  

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank