২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস
প্রতিটি দিনই হয়ে উঠুক বইয়ের দিন
২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস
প্রতিটি দিনই হয়ে উঠুক বইয়ের দিন
বিশ্ব বই দিবস বা বিশ্ব গ্রন্থ দিবস হল জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ইউনেস্কো আয়োজিত একটি বার্ষিক দিবস। বইপড়া, প্রকাশনা এবং কপিরাইট প্রচারের জন্য প্রতি বছর ২৩ এপ্রিলকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আলো যেমন জাগতিক নিয়মে অন্ধকার দূর করে সব কিছুকে মূর্ত করে, তেমনি বই মানুষের মনের ভেতরে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দেয়, চেতনার আলোকে সবকিছুকে উদ্ভাসিত করে। অতীত থেকে ভবিষ্যতে, নিকট থেকে দূরে, প্রান্ত থেকে অন্তে এমনকি যুগ থেকে যুগান্তরে জ্ঞানের আলোকে মানুষের মননে পৌঁছে দিতে পারে একমাত্র বই। বিনোদন থেকে শিক্ষা, অবসর যাপন থেকে নিঃসঙ্গতা দূর করা সবক্ষেত্রেই বই হতে পারে শ্রেষ্ঠ অবলম্বন। মার্কিন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ের একটি বিখ্যাত উক্তি হলো- ‘বইয়ের মত এত বিশ্বস্ত বন্ধু আর নেই। এই বন্ধু, প্রিয়জনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ধারণা থেকেই স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে।
১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন মিগেল দে থের্ভান্তেস’র ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে পালন করা শুরু করেন বই দিবস। ১৯২৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজা আলফনসো ত্রয়োদশ স্পেন জুড়ে স্পেনীয় বই দিবস পালনের জন্য একটি রাজকীয় ফরমান জারি করেন। পরে সমগ্র স্পেনে দিবসটি পালন করা শুরু হয়। প্রথমে ৭ অক্টোবর থের্ভান্তেসের জন্মদিনে দিবসটি পালন শুরু হয়, পরে দিবসটিকে তাঁর মৃত্যুদিন ২৩ এপ্রিলে স্থানান্তর করা হয়। এরপর দাবি ওঠে প্রতিবছরই দিবসটি পালন করার। অবশ্য সে দাবি তখন নজরে আসেনি কারোই। বহুদিন অপেক্ষা করতে হয় দিনটির স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। অবশেষে ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা।
তবে পৃথিবীব্যাপি দিবসটি তেমন একটা উদযাপন করা হয় না। বাংলাদেশে নানা দিবস পালন করার রেওয়াজ চালু থাকলেও ‘বিশ্ব বই দিবস’ খুব করে প্রচলন হয়নি। তাই বই আমাদের প্রিয় হলেও বই দিবসটি অজ্ঞাতেই চলে যায়। তবে বই শুধু দিবস বা মেলাকেন্দ্রিক না হয়ে বইপড়া জারি থাকুক সবদিন সারাবছর।
ফরাসি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী ভিক্টর হুগো বলেছেন- “বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানব সমাজকে টিকিয়ে রাখবার জন্য জ্ঞান দান করে। অতএব, বই হচ্ছে সভ্যতার রক্ষাকবচ। তাই বই পাঠ করতে হবে বেশি বেশি আর আমাদের কাছে প্রতিটি দিন হয়ে উঠুক বই দিবস।
ছবি: ফারহানা ফারা।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?