ক্লিওপেট্রার রূপচর্চায় উদ্ভট সব উপকরণের ব্যবহার
ক্লিওপেট্রার রূপচর্চায় উদ্ভট সব উপকরণের ব্যবহার
ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী দুধ। এ কথা আমরা সবাই জানি। তবে অনেকে এ দিয়ে গোসল করাকে বিলাসিতা মনে করেন। কেউ তা ত্বকে লাগানোটাও এর অংশ বলে ধরেন।
আবার কারও প্রশ্ন, ত্বকের পরিচর্যায় আদৌ দুধের কোনো কার্যকারিতা আছে কি-না? তবে সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সঙ্গে রূপের নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। তবে এজন্য সেটি ত্বকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
কাঁচা অথবা টক অবস্থায় দুধ ত্বকে ব্যবহার করা খুবই লাভজনক। তবে তা আপনি ব্যবহার করবেন কি-না, সেটা সম্পূর্ণ আপনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমরা জানি, পুরনো যুগে এক রাণি দুধ দিয়ে গোসল করতেন! তিনি হলেন ক্লিওপেট্রা।
কিন্তু কেন প্রাচীন মিসরের সম্রাজ্ঞী তা দিয়ে স্নান করতেন সেই কথা অনেকেরই অজানা। গল্পটা সত্য কি-না, সেটা বলা মুশকিল। তবে এটি পড়ার পর দুধের উপকারিতা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না।
এতে থাকে ল্যাকটিক এসিড, যা মৃত কোষ ও চামড়া ছাড়িয়ে ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। ফলে তারুণ্য ও যৌবন বজায় থাকে। তবে রূপের পরিচর্যায় কাঁচা দুধের চেয়ে অন্যান্য উপাদান বেশি ব্যবহার করতেন ক্লিওপেট্রা। যা জানলে সবার ভ্রু কুচকে যাবে।
ত্বক ফর্সা করতে কুমিরের মলমূত্র গুঁড়া করে ব্যবহার করতেন তিনি। একে পাউডার হিসেবে ব্যবহার করতেন মিসরের রূপের রাণি।
লাবণ্য বৃদ্ধিতে ক্লিওপেট্রার ছিল জুড়ি মেলা ভার। পারফিউম জগতে বিপ্লব সৃষ্টি করেন রহস্যময়ী নারী। উদ্ভিজ্জ পাতা, ফুলের পাপড়ি, পাতা ও বীজ মিশিয়ে ভেষজ তেল দিয়ে সুগন্ধি তৈরি করতেন এ বিউটি কুইন।
মিশ্রণটি এক সপ্তাহ শুকিয়ে তা নিংড়ে তেল বের করতেন ক্লিওপেট্রা। টাক পড়া সমস্যার সমাধানে কৌশল উদ্ভাবন করেন তিনি। এজন্য হরিণের মজ্জা এবং ঘোড়ার দাঁত দিয়ে পরীক্ষা চালান পিরামিড আর নীলনদের দেশের নৃপতি।
ক্লিওপেট্রার মায়াবি চোখের মায়ায় প্রেমের ভুবনে হারিয়ে যেতেন অনেক রাজা। চক্ষ্যু সৌন্দর্যে সবুজ তামার খনিজ পদার্থ এবং কালো সিসার সালফাইড ব্যবহার করতে তিনি।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?