মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পিৎজার জন্মকথা

সাতরং ডেস্ক

১৪:৫৭, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৯:২৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

৬৬১

পিৎজার জন্মকথা

ভোজনরসিক হিসেবে বাঙালির খ্যাতি জগতজোড়া। পৃথিবীতে এ একটাই জাতি, যারা সবধরনের সংস্কৃতি, শিল্প, ভাষা ও খাদ্য আপন করে নিয়েছে। বিদেশি সংস্কৃতির নতুন সংযোজন ‘ফাস্ট ফুড’ও সাদরে গ্রহণ করেছি আমরা। যতই মুখে বলি না কেন ফিট থাকতে চাই, তবু সপ্তাহ শেষে মনে মনে ওই ‘চিট ডায়েট’ এর অপেক্ষায় থাকি।

আর যদি মুখের সামনে কেউ এক প্লেট পিৎজা তুলে ধরেন, তাহলে তো লোভ সংবরণ করাই দায়! একেবারে খেতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তখন ডায়েট, জিমের কথা ভাবা হয় না। কিন্তু এর জন্ম, পরিচয় আমাদের কাছে অজানা। পিৎজা প্রেমিক হিসেবে তা-কি মেনে নেওয়া যায়? তবে বিলম্ব কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

পিৎজা শব্দটি এখন আট থেকে ৮০ সবার মুখে মুখে ঘুরোঘুরি করে। তবে বাস্তবে এর সূচনা হয় ১০ম শতাব্দীতে। সেসময় দক্ষিণ ইতালির ল্যাজিওয়ের গায়েতা শহরে এ ফাস্ট ফুডের জন্ম হয়। অবশ্য তখন পিৎজা বিলাসপ্রিয় লোভনীয় খাবারের তালিকায় ছিল না। বরং তা ছিল নিম্নবিত্ত ও গরিবদের পেটের ক্ষুধা মেটানোর খাদ্য। 

ষোড়শ শতকের শুরুতে ইতালির নেপলসে প্রথম পিৎজার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। সেখানকার খেটে খাওয়া অর্ধভুক্ত কিংবা অভুক্তদের কাছে তা ছিল সস্তায় পুষ্টিকর খাবার। কম খরচে পাওয়া পাউরুটির ওপর শুধু টমেটো ও চিজ ছড়িয়ে এটি খেতেন তারা।

আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালির সৈন্যদের এ খাবার খেতে দেখে আমেরিকানদের পছন্দ হয়। ধীরে ধীরে এতে আসক্ত হয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে আমেরিকায়ও বহুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এটি। পরে দেশটি থেকে সমগ্র বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়ে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank