যে ভাষার যত অক্ষর
যে ভাষার যত অক্ষর
পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ভাষা। তবে কোন ভাষায় কত অক্ষর রয়েছে তা অনেকের অজানা। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভাষায় কয়টি অক্ষর রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক-
বাংলা ৫২
বাংলা ভাষায় সবমিলিয়ে ৩২টি অক্ষর আছে। তবে যুক্তাক্ষর ধরলে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩০টি। বিশ্বের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ এসব ব্যবহার করে কথা বলেন।
গ্রিক ২৪
গ্রিক বর্ণমালায় মোট ২৪টি অক্ষর আছে। যার প্রথম অক্ষর আলফা। আর শেষ হয় ওমেগা দিয়ে। বিজ্ঞান ও গণিতের বহু ক্ষেত্রে এখনও গ্রিক অক্ষর ব্যবহার করা হয়।
হিব্রু ২২
আরবি, ফারসি কিংবা উর্দুর মতো হিব্রু ভাষাও ডান দিক থেকে বাঁ দিকে লেখা হয়। এ ভাষার বর্ণমালায় মোট ২২টি অক্ষর আছে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রভাষা হিব্রু। এ ভাষার ইতিহাসও কয়েক হাজার বছরের পুরনো।
তামিল ২৪৭
তামিল ভাষায় মূল অক্ষর ৩১টি। তবে যুক্তাক্ষর ধরলে সেখানে আরও ২১৬টি অক্ষর যুক্ত হয়। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ২৪৭টি অক্ষর। বিশ্বের যেকোনো ভাষার চেয়ে বেশি অক্ষর তামিলে রয়েছে।
ফারসি ৩২
ইরানের মাতৃভাষা ফারসি। এ ভাষার বর্ণমালা মোট ৩২টি। এর ইতিহাস, সাহিত্য অনেক সমৃদ্ধ।
খামের ৭৪
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন দেশ কম্বোডিয়া। খামের সংস্কৃতি বহু শতাব্দীর। এর ভাষাও খুব সমৃদ্ধ। এ ভাষায় ৭৪টি অক্ষর আছে। যার মধ্যে ৩৫টি ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ১৪টি স্বরবর্ণ। বাকি অক্ষরগুলো যুক্তবর্ণ। তবে ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে ৩৩টি এখন ব্যবহৃত হয়। ২টির কোনো ব্যবহার নেই।
থাই ৭০
থাইল্যান্ডের ভাষা থাই। এ ভাষায় সবমিলিয়ে ৭০টি অক্ষর রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ১৫টি স্বরবর্ণ। এ দুই অক্ষর মিলিয়ে বেশ কিছু যুক্তাক্ষরও তৈরি হয়।
মালয়ালম ৫৮
দক্ষিণ ভারতের কেরলে মালয়ালম ভাষার প্রচলন আছে। এ ভাষায় মোট ৫৮টি অক্ষর রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি স্বরবর্ণ এবং ৩৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ। আর কিছু অন্তচিহ্ন আছে। ওই অঞ্চলের ছোট ছোট বেশ কয়েকটি ভাষাও মালয়ালম অক্ষরে লেখা হয়।
তেলেগু ৫৬
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু মুখ্য ভাষা। তেলেঙ্গানা প্রদেশেও একই। কন্নড় ভাষার সঙ্গে তেলেগু লিপির বহু মিল আছে। কারণ, দুটি ভাষারই সৃষ্টি একই জায়গা থেকে। সবমিলিয়ে ৫৬টি অক্ষর আছে এ ভাষায়।
সিংহলি ৫৪
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রভাষা সিংহলি। এ ভাষার অক্ষর বিন্যাস অসাধারণ। সবমিলিয়ে অক্ষরের সংখ্যা ৫৪। এ ভাষাতেও সংযুক্ত অক্ষরের প্রচলন আছে।
কন্নড় ৪৯
দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি ভাষার একটি কন্নড়। মূলত কর্ণাটকে এ ভাষা ব্যবহৃত হয়। কন্নড় ভাষায় ১৩টি স্বরবর্ণ আছে। আর ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা ৩৬টি।
হিন্দি ৪৪
হিন্দিও স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণে বিভক্ত। যার মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৩টি ব্যঞ্জনবর্ণ। এ ভাষার উৎপত্তি দেবনাগরী থেকে। সংস্কৃতের প্রচুর প্রভাব আছে এতে। দুনিয়ার প্রায় ৩২ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন।
হাঙ্গেরিয়ান ৪৪
লাতিন বর্ণমালা থেকে হাঙ্গেরিয়ান বর্ণমালার উৎপত্তি। রোমান বর্ণমালার ‘এ থেকে জেড’ ছাড়াও এ বর্ণমালায় আরো বেশ কিছু অক্ষর দেখতে পাওয়া যায়।
অবখাজ ৪১
জর্জিয়ার কোনো কোনো অংশে এ ভাষায় কথা বলা হয়। অবখাজ ভাষায় ৪১টি অক্ষর আছে। ১৮৮০ সালে এ ভাষার বর্ণমালা তৈরি হয়।
আর্মেনিয়ান ৩৯
আর্মেনিয়ার প্রধান ভাষা আর্মেনিয়ান। তাদের বর্ণমালায় মোট অক্ষরের সংখ্যা ৩৬। তবে কালে কালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯-এ।
রুশ ৩৩
আধুনিক রুশ বর্ণমালায় ৩৩টি অক্ষর আছে। এ ভাষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অক্ষর ঔ, এ, আ এবং ন। একসময় রুশ ভাষার সাহিত্য সারা পৃথিবীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
আজারবাইজানি ৩২
আজারবাইজানের মানুষ বলে আজারবাইজানি ভাষা। এ ভাষার অক্ষর বিন্যাস তৈরি হয়েছে লাতিন বর্ণমালার ওপর ভিত্তি করে। তবে লাতিনের চেয়ে কিছু আলাদা অক্ষরও তাদের বর্ণমালায় ব্যবহার করা হয়।
আরবি ২৯
বিশ্বের প্রায় ৩৪ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলেন। এ লিপি ডান থেকে শুরু করে বাম দিকে শেষ করতে হয়। ২৯টি বর্ণ বা হরফের এ লিপি ব্যঞ্জন এবং দীর্ঘ স্বরধ্বনি নির্দেশ করে।
ইংরেজি ২৬
ইংরেজিতে মোট ২৬টি অক্ষর আছে। যার মধ্যে ৫টি ভাওয়েল এবং ২১টি কনসোনেন্ট। সারা পৃথিবীতেই এ ভাষার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। মূলত রোমান স্ক্রিপ্ট থেকেই তৈরি হয়েছে ইংরেজি বর্ণমালা। প্রায় ১৮০ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। এতে ছোট ও বড় হাতের অক্ষর আছে। এর সাহিত্য অনেক সমৃদ্ধ।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?