যে ৮ রাজকীয় আইন ভেঙেছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা
যে ৮ রাজকীয় আইন ভেঙেছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা
একজন রাজপরিবারের বধূ হয়ে প্রিন্সেস ডায়ানা এমনসব কান্ড করেছিলেন যা ব্রিটেনের ইতিহাসে কোনো রাজবধূ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। সাধারন এক পরিবারের মেয়ে হয়েও মাত্র ২০ বছর বয়সে রাজপরিবারে অভিজাত সব নিয়মকানুন শিখে নিয়েছিলেন তিনি। বিশ্ব মানবতার জন্য কাজ করে সমাদৃত হয়েছেন পৃথিবীজুড়ে।
২০১৯ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বধূ মেগান মর্কেল কয়েকটি রাজকীয় আইন ভেঙে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন। কিন্ত পাঠক হয়তো জানেন না, তার শ্বাশুড়ি প্রিন্সেস ডায়ানা এ ব্যাপারে তারচেয়েও এগিয়ে ছিলেন। একবার দুবার নয়, ডায়ানা ৮ বার ভেঙেছিলেন রাজপরিবারের আইন।
বিয়ের আংটি পছন্দ ও শপথ বদলানো
রাজপরিবারের কেউ সস্তা আংটি কেনে না। বধূদের আংটি পছন্দ করে হবু স্বামী। কিন্ত এসব নিয়মের ধার ধারেননি ডায়ানা। নিজেই বিয়ের আংটি পছন্দ করেন। বিয়ের শপথ বাক্যে সর্বদা প্রিন্স চার্লসের অনুগত থাকার কথা আওড়াতে বলা হয়। সেকেলে ধারণা বলে এ অংশটি এড়িয়ে যান তিনি।
সবকিছু ফেলে সন্তানের খেয়াল রেখেছেন
বিয়ের আগে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন ডায়ানা। সেই চাকরি ছেড়ে দিলেও বাচ্চাদের প্রতি তার ভালোবাসা কমেনি। রাজপরিবারের কাজকর্মের তোয়াক্কা না করে তার সন্তানদের সাথে সময় কাটাতেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস।
সাধারণ স্কুলে পড়িয়েছেন চার্লসকে
কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও একটি পাবলিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করেছিলেন রাজপুত্র চার্লসকে। এতে রাজপরিবার থেকে ব্যাপক কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রিন্সেসকে।
সাধারণ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করেছেন
রাজপুত্র উইলিয়াম ও হ্যারিকে সাধারণ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতেন ডায়ানা। সন্তানদের নিয়ে পাবলিক বাস ও ট্রেনে চড়তে যেতেন। বাসের জন্য অন্য সবার মতো লাইন ধরতেও শেখাতেন তিনি। ডিজনিল্যান্ডে গিয়ে রাইডের জন্যও অপেক্ষা করেছিলেন অন্য সবার সাথে।
ড্রেসকোড মানেননি
রাজপরিবারের নিয়ম ছিল শোকের সময় ছাড়া কালো রঙ পরিধান করা যাবে না। কিন্ত ১৯৯৪ সালের একটি ডকুমেন্টারির জন্যে ক্যামেরার সামনে কালো একটি জমকালো পোশাক পরে হাজির হয়েছিলেন প্রিন্সেস।
মিডিয়াতে খোলামেলা আলোচনা
প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ডায়ানা বুলিমিয়া রোগেয়া আক্রান্ত হন। বিবাহ ব্যর্থ হওয়ায় এবং ব্যক্তিগত কারণে এ রোগ হয়েছিলো, একথা অকপটে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতা পরিহার
অনুষ্ঠানে কোনো বাচ্চার সঙ্গে কথা বলার সময় একেবারে নিচু হয়ে তার মুখোমুখি বসে যেতেন প্রিন্সেস। এমনকি কোলে তুলে নিতেন কোনোকিছু না ভেবেই। বিষয়টি রাজপরিবারে নজিরবিহীন।
ডায়ানা মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সবদিকে
ল্যান্ডমাইন ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালান প্রিন্সেস ডায়ানা। অ্যাঙ্গোলায় সংকটে পড়া শিশুদের ত্রাণ দিতে একাই ছুটে গিয়েছিলেন সকল বাধা উপেক্ষা করে। এমনকি এইডস আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গেও তিনি আলিঙ্গনবদ্ধ হন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?