আজ ‘বিছানা না ঘোছানোর দিন’
আজ ‘বিছানা না ঘোছানোর দিন’
২১ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে ‘বিছানা না ঘোছানোর দিন,’ যা বিশ্বের শয্যা-অলস মানুষদের জন্য একটি আনন্দের দিন। কেউ প্রতিদিন পরিষ্কার বিছানা পছন্দ করেন, আবার কেউ মনে করেন এটি সময় নষ্ট। যাই হোক, এই বিশেষ দিনটি সবার জন্য। যদিও প্রতিদিন বিছানা গুছানোর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু আপনি কি জানেন বিছানা অগোছালো রাখারও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে?
‘বিছানা না ঘোছানোর দিন’-এর ইতিহাস
এই দিনের ধারণা আসে ২০১৪ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর তিজেরাস শহরের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী শনন বারবার কাছ থেকে। মাত্র চার বছর বয়স থেকে প্রতিদিন বিছানা গুছিয়ে তার বাবা-মাকে খুশি করলেও, বারবা অনুভব করেছিলেন যে এটি একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ এবং এতে তিনি বিরক্ত হয়ে পড়েন।
২১ ডিসেম্বর দিনটি নির্ধারণের কারণও বেশ মজার। এটি বছরের সবচেয়ে ছোট দিন, যখন মানুষ সবচেয়ে কম সময় বিছানার বাইরে কাটায়। তাই বারবার যুক্তি ছিল, এই দিনে বিছানা গুছানোর প্রয়োজন নেই।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি
বিছানা গুছানোর বিরুদ্ধে রয়েছে বিজ্ঞানীদের মতও। ইংল্যান্ডের কিংস ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, বিছানা অগোছালো থাকলে সেটি স্যাঁতসেঁতে হয় না এবং ঘরে থাকা মাইট বা জীবাণুরা সহজেই মরে যায়। বিছানা গুছিয়ে দিলে সূর্যালোক পৌঁছায় না এবং জীবাণুরা সেখানে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায়।
বিছানা গুছানোর মনস্তাত্ত্বিক দিক
বিছানা না গুছানো মানেই আপনি অলস — এটি সঠিক নয়। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, যারা বিছানা গুছানোর গুরুত্ব দেন না, তারা সাধারণত জীবনে কাঠামোবদ্ধতা পছন্দ করেন না। তারা সৃজনশীল এবং চমকপ্রিয়। অন্যদিকে, যারা প্রতিদিন বিছানা গুছান, তারা শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন।
সিদ্ধান্ত আপনার
বিছানা গুছানো বা অগুছালো রাখা, উভয়েরই নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। তবে আজকের দিনটি বিছানা না গুছিয়ে উদযাপন করার এবং আপনার পছন্দমতো দিনটিকে উপভোগ করার একটি সুযোগ।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!