পানি পান করতে স্কুলে ‘ওয়াটার বেল’
পানি পান করতে স্কুলে ‘ওয়াটার বেল’
তাপমাত্রা বাড়ায় চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন ঘনঘন পানি খেতে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় স্কুলে ছোটদের কে বারবার পানি পানের কথা মনে করাতে চালু করা হয়েছে ‘ওয়াটার বেল’। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।
ভারতের কয়েকটি রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে এই পদ্ধতি চালু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেরও বেশ কয়েকটি স্কুল এই পদ্ধতি চালু করেছে। ওয়াটার বেল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে রাইপুরের চাতরি নিম্ন বুনিয়াদি আবাসিক বিদ্যালয় ও নিতুড়িয়ার বিন্দুইডি প্রাথমিক স্কুলে।
রাইপুরের চাতরি নিম্ন বুনিয়াদি আবাসিক বিদ্যালয় ও নিতুড়িয়ার বিন্দুইডি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার মণ্ডল বলেন, ‘শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়। তাই এই ভরা গ্রীষ্মে শিক্ষার্থীদের শরীরে পর্যাপ্ত পানির জোগান দিতে প্রতি ঘণ্টায় ওদের পানি পান করানোর অভ্যাস চালু করা হলো।’
তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম এই পদ্ধতি দেখেন ওড়িশার একটি স্কুলে। তারপরেই নিজের স্কুলের কথা মনে পড়ে। তবে সম্প্রতি কলকাতার বেশ কিছু স্কুল ‘ওয়াটার বেল’ চালু করেছে।
প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘ঘন ঘন পানি পান সু-অভ্যাস। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তারা সুস্থ থাকবে। আমরা চাই, তারা বাড়িতে ও হস্টেলে এই অভ্যাস পালন করুক। সে জন্য এ দিন স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক ও হস্টেল সুপারকে ডেকে তাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মাহাত বলেন, ‘তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান। ছোট শিশুদের মধ্যে পানির অভার যাতে না হয় সেই কারণে এই ওয়াটার বেল। আসলে অভিভাবকরা চিন্তা করেন আদৌ শিশুরা স্কুলে গেলে পানি ঠিক মতো পান পান করবে কি না। সেই কারণে স্কুলে দু’বার বেল বাজানো হচ্ছে। যাতে বাচ্চারা পানি পান করে।’
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?