মন্দেরও কিছু গুন আছে!!!
মন্দেরও কিছু গুন আছে!!!
ট্রান্সগ্রেশন। বাংলায় যার মানে নিছকই অপরাধমূলক কিছু কাজ। আইন অমান্য, আচরণবিধির লঙ্ঘন যেকোনোটাই বলতে পারেন। তো এই অপরাধগুলো কেমন? এগুলো হচ্ছে সেই সব অপরাধ যা আপনি জেনে বুঝে করেন। যেমন ছেলেবেলায় মাকে লুকিয়ে রান্নাঘরে চুরি, বাবার পকেট থেকে এক আধুলি টুক করে তুলে নিয়ে শটকে পড়া। কিংবা বিনা দাওয়াতে বিয়ে বাড়ি ঢুকে পেটপুজো ইত্যাদি। হরেকরকম ট্রান্সগ্রেশন আমরা করি কিংবা করেছি। যা নিয়ে তখনই কিংবা অতঃপর বিমলামন্দও উপভোগ করতে থাকি।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে পড়ছিলাম সাইকোঅ্যানালিস্ট ও লেখক জেমিসন ওয়েবস্টার মনে করেন এই নিত্যকার ছিঁচকে অপরাধগুলো নিয়ে মূলতঃ আমরা যেভাবে ভাবি বা দেখি, বস্তুতঃ এগুলোর প্রভাব তার চেয়েও অনেক গভীর। এই অপরাধগুলো নাকি মানবসত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
"যখন আমরা এমন গোপনানন্দে মশগুল থাকি তখনই আমরা আমাদের ভেতরের আমিটাকে সবচেয়ে বেশি চিনতে পারি," এটাই লিখেছেন ওয়েস্টার। তার যুক্তি হচ্ছে- আমরা সবসময়ই একটা নীতি-নৈতিকতার বলয়ে বাস করি। অনেক রোগী তার কাছে আসেন যারা বলেন, তাদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার অন্যতম একটা কারণ যে তারা ব্যক্তি মানুষটি অতটা ভালো নন। এই উৎকণ্ঠাটাই দূর করতে হবে। ওয়েবস্টারের মতে, ট্রান্সগ্রেসিভ অ্যাক্ট বা এমন ছোটখাটো অপরাধমূলক কাজগুলো এই চাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
কিভাবে?
এই সাইকোথেরাপিস্ট মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে অন্তর্গত এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়, আর সে উদ্বেগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা অদ্ভুত আর ভীষণভাবে স্ববিরোধী। সেই বোধটাই কাজে দেয়।
আরেকটি যুক্তি এসেছে, ছেলেবেলার এমনসব লঘু অপরাধ কিংবা আচরণবিধির ছোটখাটো লঙ্ঘন মানুষকে বড় অপরাধ থেকে মুক্ত রাখে। বড় হয়ে মানুষগুলো অনেক দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে।
ব্যাপারটা মজার। তবে বিষয়টি পুরোটাই আপনার বিবেচনা। নিজের জীবনে এমন ট্রান্সগ্রেশনের চর্চা কতটুকু করেছেন কিংবা করবেন তা আপনার ভেতরের যে আপনি তার ওপরই ছেড়ে দিন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?