মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চাল ভেঙে ঘরে ঢোকা ‘পাথর’ বেচে কোটিপতি হলেন শ্রমিক

সাতরং ডেস্ক

১০:৪৮, ২০ নভেম্বর ২০২০

৩৬৩

চাল ভেঙে ঘরে ঢোকা ‘পাথর’ বেচে কোটিপতি হলেন শ্রমিক

প্রতিদিনের মত সেদিনও ঘরের বাইরে কফিন তৈরির কাজ করছিলেন ইন্দোনেশিয়ার জোসুয়া হুতাগালুং। হঠাৎ করেই শুনতে পান বিকট এক শব্দ। ঘুরে তাকাতেই দেখেন নড়ছে তার ঘর। তড়িঘড়ি করে ঘরে ঢুকে দেখতে পান একটি পাথরের মত কি যেন পড়ে আছে ভিতরে। চালের টিনও ভাঙা।

তখনও জোসুয়া জানেন না তার ঘরে যে সৌভাগ্য এসে ঢুকেছে। মানুষকে জানাতে ‘পাথর’ এর ছবি তুলে ফেসবুক পোস্ট দেন তিনি। আগস্টে দেয়া পোস্টের ক্যাপশনে লিখেন ‘ হঠাৎ আকাশ থেকে একটি কালো পাথর আমার ঘরে এসে ঢুকেছে। এটা যাই হোকনা আমার পরিবারের জন্য ভালো চিহ্ন’।

এই ভালো যে কতটা ভালো তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি ৩৩ বছর বয়সী এই কফিন প্রস্তুতকারী। ফেসবুকে ছবিটি দেয়ার পরই অনেকের নজরে আসে তা। এক পর্যায়ে আমেরিকান বিশেষজ্ঞ ও স্পেশাল কালেক্টর জেয়ান কলিন্স ছবি দেখে বুঝতে পারেন এটা আসলে সাধারণ কোন পাথর নয়। তিনি ছুটে যান ইন্দোনেশিয়ায়। পরে পাথরটি পরীক্ষা করে দেখেন একটি একটি কার্বনেসিয়াস কনড্রাইট প্রজাতির উল্কা; যা অত্যন্ত বিরল। ধারনা করা হচ্ছে ২.১ কেজির উল্কাটি প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন বছরের পুরনো এবং এটার চৌম্বকীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 
 
জোসুয়ার কাছ থেকে চড়া দামে তা কিনে নেন কলিন্স। কিন্তু ঠিক কত দামে সে বিষয়ে মুখ খুলেননি জোসুয়া। তবে ইনিয়ে বিনিয়ে ইন্দোনেশিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘কম্পাস’ কে যে সংখ্যা বলেছেন তা হলো ১ মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১০ কোটি টাকা! অর্থাৎ প্রতি গ্রামের মূল পড়েছে ৭০ হাজার টাকা।

কলিন্স অবশ্য নিজের জন্য নেননি উল্কাটি। যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে তিনি সেটা আবার বিক্রি করেছেন আরেক উল্কা বিশেষজ্ঞ পে পিয়েটাকের কাছে। যিনি উল্কাটিকে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির উল্কা গবেষণা কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন।  

কোটিপতি হয়ে জোসুয়া হুতাগালুং এখন কফিন বানানোর কাজ থেকে অবসর নিতে চাইছেন। সেই সাথে তার গ্রামে একটা চার্চ তৈরির পরিকল্পনাও করছেন।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank