সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

তাজমহলের সেই ‘গোপন কক্ষগুলো’র ছবি প্রকাশ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৫:০৮, ১৭ মে ২০২২

আপডেট: ১৫:১১, ১৭ মে ২০২২

৭২৯

তাজমহলের সেই ‘গোপন কক্ষগুলো’র ছবি প্রকাশ

সম্প্রতি তাজমহলের কয়েকটি ‘বন্ধ ঘর’ নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। দাবি করা হয়, এই ঘরগুলোতে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি লুকোনো রয়েছে। এই আবহে অযোধ্যার এক বিজেপি নেতা এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে এই ঘরগুলোর দরজা খুলে সেখানে সমীক্ষা চালানো হয়। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এবার সেই ঘরগুলোর ছবি প্রকাশ করল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)।

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া আগ্রার তাজমহলের নদীর তীরে বন্ধ ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলিতে সম্প্রতি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেছে। সেই সময় এই কক্ষগুলোর ছবি তোলা হয়েছিল। সেই ছবিই প্রকাশ করা হয়েছে।

এএসআই এর আগ্রা বিভাগের প্রধান আরকে প্যাটেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছবিগুলো ২০২২-র জানুয়ারির নিউজ লেটারের অংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে কেউ ওয়েবসাইটে গিয়ে তা দেখতে পারেন। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের মতে, ওই ঘরগুলোর মেরামতের কাজ করা হয়েছে ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে। যেখানে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। এর আগে ২০০৬-০৭ সালেও সেগুলোকে মেরামত করা হয়েছিল। এএসআই এর ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে সব তথ্য আপডেট করা হয়।

সূত্রের দাবি, তাজমহলের বন্ধ ঘর নিয়ে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে ছবিগুলো সবার সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।

আগ্রা সেলের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান টাইমস জানিয়েছে, ওই কুঠুরিগুলোতে কোনো গোপনীয়তা নেই। সেগুলো মূল কাঠামোরই অংশ। এগুলোর কোনো বিশেষত্বও নেই। আর শুধু তাজমহল নয়, এমন দিল্লিতে সম্রাট হুমায়ুনের সমাধিসহ বিভিন্ন মুঘল স্থাপনায়ও এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আগ্রায় বেড়ে ওঠা ইতিহাসবিদ রানা সাফভি এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, ১৯৭৮ সালের বন্যার আগে ভূগর্ভস্থ এই কক্ষগুলো দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এসব কক্ষের ভেতরে কিছুই নেই। ওই বন্যায় সমাধিসৌধে জল ঢুকে পড়ে, কিছু ভূগর্ভস্থ কক্ষে পলি পড়েছিল এবং ফাটল ধরেছিল। সে সময় কর্তৃপক্ষ কক্ষগুলো বন্ধ করে দেয়। তবে সংস্কার কাজের জন্য কক্ষগুলো মাঝেমধ্যে খোলা হয়।

এর আগে তাজমহলের ২২টি বন্ধ ঘর খোলার আবেদন জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন অযোধ্যা জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির মিডিয়া ইনচার্জ ডঃ রজনীশ সিং। বিজেপি নেতার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় এলাহাবাদা হাই কোর্ট। পাশাপাশি আবাদনকারীকে জনস্বার্থ মামলার নামে 'উপহাস' করতে বারণ করেন বিচারপতি।

এর আগেও তাজমহলে হিন্দুদের গিয়ে পূজা-পাঠের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছিল। দাবি করা হয়, মুঘল জামানার এই বিশ্ববিখ্যাত সৌধ আদতে ‘তেজো মহালায়া’ নামক শিব মন্দির ছিল। শ্রী অগ্রেশ্বর মহাদেব নাগনাথেশ্বর বিরাজমানের হয়ে সেই মামলা অবশ্য আদালতে টেকেনি। এই বিতর্ক সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

সূত্র:  হিন্দুস্তান টাইমস

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank