ফ্লাইং ডাচম্যান: যে ভুতুড়ে জাহাজ এখনো সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে
ফ্লাইং ডাচম্যান: যে ভুতুড়ে জাহাজ এখনো সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে
ভুতুড়ে জাহাজ নিয়ে যতগুলো গল্পগাছা ছড়িয়ে আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্লাইং ডাচম্যান-এর কিংবদন্তী।
১৭ শতকে প্রথমবারের মতো এ জাহাজের গল্প শুরু হয়। শোনা যায়, জাহাজটি উত্তমাশা অন্তরীপের কাছাকাছি প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে। জাহাজের নাবিকেরা জাহাজটি নোঙর করাতে অনুরোধ করলেও ক্যাপ্টেন তাদের কথা শোনেননি।
ক্যাপ্টেন ভেবেছিলেন, যতকিছুই হোক তার জাহাজ ঝড়ে টিকে থাকবে। তিনি না থেমে অন্তরীপ পার হতে চেয়েছিলেন। দম্ভের চোটে তিনি ঘোষণা করেছিলেন শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত হলেও তিনি জাহাজ চালিয়ে যাবেন, তারপরও অসফল হবেন না।
তার এ দম্ভবাক্য শুনে শয়তান তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। শয়তান অভিশাপ দেয় মহাসমুদ্রে চিরকালের মতো ভাসতে থাকবে এ জাহাজ। সেই থেকে অহল্যার মতো অভিশাপে অনাদিকালের জন্য আটকে যায় দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান।
এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা উপায় ছিল। সেটি হলো যদি কোনো নারী তাকে ভালোবেসে জীবন দিতে পর্যন্ত রাজি থাকে। তবে সে নারীকে খুঁজতে প্রতি সাত বছরে কেবল একবার জাহাজ থামিয়ে তীরে নামতে পারবে ক্যাপ্টেন।
এরপর থেকেই মহাসমুদ্রে একা বিচরণ করছে ফ্লাইং ডাচম্যান। কথিত আছে মাঝেমধ্যে সমুদ্রে এ জাহাজকে আচমকা দেখতে পান নাবিকেরা। জাহাজটি নাকি মৃত্যু বা দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দিতে হঠাৎ করে দেখা দেয়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?