বিশ্বের ৬ষ্ঠ শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল পেপসির কাছে
বিশ্বের ৬ষ্ঠ শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল পেপসির কাছে
স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের কথা। আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। আদর্শিক বিতর্কের জায়গায় রয়েছে পুঁজিবাদ বনাম কম্যুনিজম। সেসময় ১৯৫৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডুইট আইসেনহাওয়ার মার্কিন সংস্কৃতিকে রাশিয়ায় নিতে চাইলেন।
তার উদ্দেশ্য ছিল পুঁজিবাদের সুবিধাগুলো রাশিয়াকে দেখানো। মস্কোতে চালু করা হলো 'আমেরিকান ন্যাশনাল এক্সিবিশন'। তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন সেটাতে যোগ দিতে মস্কো গেলেন।
পুঁজিবাদ বনাম সাম্যবাদ বিতর্কে সেখানেই সোভিয়েত নেতা কুরুশেভ ও নিক্সনের মধ্যে তর্ক বেঁধে গেল। সে তর্ক সামাল দিতে পেপসি'র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাঝখানে এসে পড়লেন। তিনি কুরুশেভকে এক কাপ পেপসি খাওয়ার অনুরোধ করলেন। কুরুশেভ সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পুঁজিবাদী খাবার পেপসি পান করলেন।
এর কয়েক বছর পর, সোভিয়েত ইউনিয়নের পেপসি খাওয়ার সাধ জাগলো। কিন্তু রাশান রুবল তখন বিশ্ববাজারে অনেকক্ষেত্রে চলত না। তো কীভাবে দেওয়া হবে এত পরিমাণ পেপসির দাম? ভদকা দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করার চিন্তা করা হলো। অর্থাৎ বিপুল পরিমাণ ভদকা দিয়ে পেপসি'র দাম পরিশোধ করছিল রাশিয়া।
সে তো গেল, কিন্তু এরপরে ১৯৮০ সালে নতুন করে পেপসির জন্য চুক্তি করতে হয়েছিল রাশিয়াকে। কিন্তু এবার আর এ পরিমাণ ভদকা ছিল না তাদের হাতে যা দিয়ে পেপসির দাম মেটানো যেত।
তখন রাশিয়া পেপসিকে নৌবহর দেওয়ার প্রস্তাব দিলো। পেপসিও সেটা গ্রহণ করলো। সেবার পেপসি কেনার জন্য রাশিয়া পেপসি কোম্পানিকে ১৭টা সাবমেরিন, একটি ক্রুজার, এটি ফ্রিগেট, ও একটি ডেস্ট্রয়ার দিয়েছিল।
এতগুলো নৌবাহিনীর জাহাজ ও সাবমেরিন হাতে পেয়ে পেপসি সেসময় বিশ্বের ৬ষ্ঠ শক্তিশালী হয়ে গিয়েছিল। যদিও সেটা সাময়িক ছিল। কিছুদিন পরে পেপসি কোম্পানি ওসব নৌযানগুলো একটি সুইডিশ কোম্পানির কাছে স্ক্র্যাপ মেটাল হিসেবে বিক্রি করে দেয়।
বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?