সূর্যের সমাপ্তি কবে?
সূর্যের সমাপ্তি কবে?
সূর্যের জন্যই সৌরজগৎ টিকে আছে |
কারা যেন ভালোবেসে আলো জ্বেলেছিল, সূর্যের আলো তাই নিভে গিয়েছিল। গানের এ কথাগুলো তো অনেকবার গুনগুন করে আউড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু কখনো কি চিন্তা করেছেন সূর্যের আলো কোনোদিন সত্যিই নিভে যাবে কিনা? যদি নেভে তাহলে কবে হবে এমন অবস্থা?
সূর্যের জন্যই সৌরজগৎ টিকে আছে। কিন্তু সবকিছু মতো এরও শেষ আছে। কোনো একদিন সূর্যের সব জ্বালানি পুড়তে পুড়তে শেষ হয়ে যাবে। তারপর বিস্ফোরণ ঘটবে আমাদের সৌরজগতের এ মধ্যাকৃতির তারকাটির। কিন্তু সে সময় কখন? আপনি দেখে যেতে পারবেন? ওটা বোধহয় কেউ এ জনমে দেখতেই চাইবে না। তার আশঙ্কাও নেই। কারণ খুব শীঘ্রই শেষবারের মতো “ডুবছেন” না সূয্যিমামা।
সূর্যকে পুরোপুরি মৃতনক্ষত্রে পরিণত হতে হলে আরও কয়েক ট্রিলিয়ন বছর সময় লাগবে। ১০০০ বিলিয়ন বছরে এক ট্রিলিয়ন বছর। সূর্য এখন যে দশায় আছে তার নাম “মেইন সিকোয়েন্স”। বর্তমানে সূর্যের ভেতর নিরন্তর হাইড্রোজেন নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া চলছে। আর তার থেকে তৈরি শক্তি যেমন সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহগুলোকে আলোকিত করছে তেমনিভাবে এই শক্তি সূর্যকে তার নিজের ভরের কারণে ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা করছে। আর এ প্রক্রিয়াটি শেষ হবে আগামী ৫০০ কোটি বছর পর।
৫০০ কোটি বছর পর সব হাইড্রোজেন শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী দশায় পৌঁছাবে সূর্য। এর ফলে শক্তির অভাবে এর কেন্দ্রস্থল অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। কিন্তু সূর্যের বাইরের দিকে তখনো কিছুটা হাইড্রোজেন থেকে যাবে। সেই অংশ ক্রমাগত বিস্তৃত হতে থাকবে চারদিকে। আর সেই বিস্তৃতির কারণে সূর্যের আশেপাশের বুধ ও শুক্রগ্রহ এর ভেতরে ঢুকে যাবে। অর্থাৎ সূর্যের প্রত্যক্ষ আঘাতে বিলীন হয়ে যাবে পৃথিবীর প্রতিবেশি এ গ্রহদুটি।
তবে পৃথিবীকে না গিলে খেলেও সূর্য থেকে সৃষ্ট সৌরবাতাসের কারণে পৃথিবীর চুম্বকীয় ক্ষেত্রের দশা হবে বেহাল। আর তাতেই ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল।
সূর্যের বয়স ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি বছর পরিয়ে গেছে। সূর্য এখন মধ্যবয়সী যোদ্ধা। এখন আপনি যদি ভাবেন পৃথিবীর মানুষজনকে আগামী ৫০০ কোটি বছর সূর্যের পতন নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না, তাহলে আপনার ভাবনাটাকে একটু থামাতে হবে। কারণ পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের সাথে সূর্যের সম্পর্কের হিসাবনিকাশে আরও অনেক সমীকরণ জড়িয়ে আছে।
এখন থেকে ১০০ বা ১৫০ কোটি বছর পর সূর্যের তাপমাত্রা এত বাড়বে যে তা-তে পৃথিবীর সব মহাসমুদ্রের পানি বাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যাবে। সুতরাং পৃথিবীতে আগামী একশ কোটি বছর পরে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব না থাকারই সম্ভাবনা প্রবল যদি না মানুষ নতুন কোনো উপায় আবিষ্কার করে হয় সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া রোধ করে অথবা সেই তাপমাত্রাকে সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করে।
লাইভ সায়েন্স অবলম্বনে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?