বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিক্রি হবে চে’র জন্মস্থান

১২:০৯, ২৮ জুলাই ২০২০

৮৪৬

বিক্রি হবে চে’র জন্মস্থান

চে’র ছবি বুকে ধরে ঘুরে বেড়ায় অনেক যুবক। তাদের জন্য খবর- বিক্রি হবে চে’র জন্মস্থান। অর্থাত যে ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন গোটা পৃথিবীতে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়া বিংশ শতাব্দীর বামপন্থী বিপ্লবী চে গেভারা সেটি বিক্রি করা হচ্ছে। 

আর্জেন্টিনার রোসারিও সিটিতে একটি নব্য সনাতনী ইমারতের একটি ঘরে এর্নেস্তো চে গেভারা দে লা সের্না র  জন্ম হয়েছিলো ১৯২৮ সালে। সেটি ছিলো ২৫৮০ স্কয়ার ফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট। ঘরটি চে’দের হাতছাড়া হয়ে যায় আরও আগেই। ২০০২ সালে সেটি কিনে নিয়েছিলেন ফ্রান্সিসকো ফারুগিয়া নামের এক ব্যবসায়ী। তিনিই এবার চে’র সেই জন্মঘরটি বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

খবর দিচ্ছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে ফারুগিয়া এই ঘরটিকে একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সে ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেননি। তবে এর দাম কত হাঁকছেন এই ব্যবসায়ী তা জানা যায়নি।

বহু বছর ধরে বহুতল বিশিষ্ট গোলাকার ভবনটি দেখতে দর্শণার্থীদের ভীড় লেগেই থাকে।

তার চেয়েও বড় কথা হলো এই বাড়িতে পা পড়েছে উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে পেপে মুজিচার। এসেছেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর ছেলে মেয়ারা। আরো এসেছিলেন আলবার্তো গ্রানাদো। তিনি বাড়িটিতে গিয়েছিলেন ১৯৫০’র দশকের সেই দিনগুলোতে, যখন চে মোটর সাইকেলে চেপে দক্ষিণ আমেরিকা চষে বেড়াতেন আর চিকিতসা দিতেন।  

এক ধনী মিডল ক্লাস পরিবারে জন্ম হয়েছিলো চে গেভারার। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার মানুষগুলোর দারিদ্র ও ক্ষুধা তাকে বিপ্লবী করে তোলে। ১৯৫৩-৫৯ সময়কালে কিউবা বিপ্লবে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিনি পালন করেছিলেন, যার মধ্য দিয়ে গদিচ্যুত হয়েছিলেন স্বৈরাচারি ফুলগেনসিও বাতিস্তা।   

কিউবা থেকে তিনি যান বলিভিয়ায়। সেখানে প্রেসিডেন্ট রেনে ব্যারিন্তোস অর্তুনোর বিরুদ্ধে বিপ্লবে নেতৃত্ব দেন। সেখানেই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বলিভীয় সেনারা চে গেভারাকে ধরে ফেলে। ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ও গোপন স্থানে তার মরদেহ পুঁতে রাখা হয়। ১৯৯৭ সালে তার দেহাবশেষের সন্ধান মিললে তা কিউবায় নিয় পুনরায় সমাহিত করা হয়।
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank