পানির নিচে ‘পরিত্যক্ত’ শহর, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুইমিং পুল চালু
পানির নিচে ‘পরিত্যক্ত’ শহর, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুইমিং পুল চালু
পর্যটন শিল্পে সবচেয়ে বড় নাম এখন দুবাই। একের পর নতুন আকর্ষণ তৈরি করে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহরটি। যার সর্বশেষটি হলো বিশ্বের সবচেয়ে গভীর সুইমিং পুল যার নিচে বানানো হয়েছে একটি শহর। সেখানে আবার আছে খেলার জায়গাও।
দুবাইয়ের ডিপ ডাইভ পর্যটনের অংশ এই পুলটির গভীরতা ৬০ মিটার বা ১৯৬ ফুট। এর আগে সবচেয়ে গভীর সুইমিং পুল ছিল পোল্যান্ডের ডিপস্পট। যা গভীরতা ছিল ৪৫ মিটার। তবে পুরো আয়তনে পোল্যান্ডের পুলটি অনেক ছোট।
দ্য ডিপ ডাইভ দুবাই নামক পুলে পানি থাকবে ১৪ মিলিয়ন লিটার যা একটি অলিম্পিকের সুইমিং পুরের চেয়ে ছয়গুণ বেশি। এছাড়া অন্য যে কোন পুলের চেয়ে আয়তনে তা অন্তত চারগুণ বড়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এই পুলকে সবচেয়ে গভীর সুইপিং পুলের স্বীকৃতি দিয়েছে ২৭ জুন।
এই সুইমিং পুল উদ্বোধন করেন দুবাইয়ের প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাখতুম। এটি এখন কেবল আমন্ত্রিতদের জন্য খোলা হয়েছে। বছরের শেষ দিকে তা সাধারণদের জন্যও উন্মুক্ত করা হবে।
এখানে পানির তাপমাত্রা রাখা হবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সুইসিং স্যুট বা ওয়েটস্যুটের জন্য যথার্থ।
ডুবন্ত এক পরিত্যক্ত শহর
এক হাজার ৫০০ স্কয়ার মিটার এই সুইমিং পুলটি ঝিনুকের আকৃতিতে তৈরি করা হয়েছে। যা সাগর থেকে মুক্তো কুড়ানো জাতী হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাস তুলে ধরে।
সুইপিং পুলের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হলো পানির নিচের তৈরি করা পরিত্যক্ত শহর। যে কোন ডাইভারের মনে হবে তিনি প্রাচীন কোন ধ্বংস হওয়া নগরীতে সাতার কাটছেন।
সেখানে আবার পুল খেলার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়া পুলে ভিন্নমাত্র যোগ করতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক লাইটিং ও সাউন্ড সিস্টেম।
ডিপ ডাইভ দুবাইতে একদম শুরু করা ব্যক্তি বা সার্টিফিকেট পাওয়া ডাইভাররা প্রবেশাধিকার পাবে। একজনের গাইডের অধীনে এক ঘন্টা পরিদর্শনের পর যে কেউ নিজেই নিজেই পুরো জায়গা ঘুরে দেখতে পারবেন। ডাইভারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো পুলের মধ্যে ৫৬টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
ডিপ ডাইভ দুবাই এর পরিচালক জ্যারর্ড জেবলন্সকি বলেন, এটা শুধুমাত্র বড় বা গভীরই নয় ডুবন্ত শহর পুলটিকে বিশ্বের কাছে বিশেষ করে তুলবে। এখানে এত কিছু আছে যে এটাকে শুধু পুল বলাও ভুল হবে।
পুল পরিদর্শনের পরপরই বুর্জ খলিফার শীর্ষে উঠা যাবে না
ডাইভিং কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি রেস্টুরেন্ট আছে যেখানের নিচে বড় গ্লাস দেয়া। সেখান থেকে কেউ চাইলে নিচে ডাইভারদের কর্মকান্ড দেখতে পারবেন। তবে সেখান থেকে গিয়েই কেউ বুর্জ খলিফার উপরে যেতে পারবেন না।
নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কবার্তা ছাপিয়ে দিয়েছে ডিপ ডাইভ দুবাই কর্তৃপক্ষ। যেখানে বলা হয়েছে ডাইভের পর অন্তত ১৮ থেকে ২৪ ঘন্টা ৩০০ মিটার (১০০০ ফুট) চেয়ে উচূ কোন স্থানে যাওয়া যাবে না। কেননা এটা ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে অনেক উঁচূ কোন জায়গা থেকে এসে ডাইভিং করলে কোন ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে পুল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বিড়াল ভয়ংকর!
- আপনি কি একজন এমবিভার্ট?
- মাটি খাওয়া মানুষ
- বিষাক্ত পাতাবাহার গাছ
- বঙ্গবন্ধুর যেসব অনন্য উক্তি জাগিয়ে তোলে প্রাণশক্তি
- নাগলিঙ্গম ফুলের সৌরভে...
- বিশ্বব্যাপী গাছে গাছে জুতা ঝুলানো হয় কেন?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিকদের শেষ চিহ্ন [ভিডিও স্টোরি]
- টাইটানিক ডোবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বিজ্ঞানী!
- পটকা মাছ কেন বিষাক্ত?