তরুণরাই ডিজিটাল বিপ্লবের যোদ্ধা: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
তরুণরাই ডিজিটাল বিপ্লবের যোদ্ধা: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
"তরুণরাই ডিজিটাল বিপ্লবের যোদ্ধা। তাদেরকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তারা অত্যন্ত মেধাবি। তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ করে গড়ে তুলতে শিক্ষায় ডিজিলাইজেশন যাত্রা আমরা শুরু করেছি। গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড দূর করার মাধ্যমে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।"
-মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
তরুণ সমাজকে ডিজিটাল যুগের যোগ্য সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষক-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এই মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকায় ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশন- গ্লোবাল আয়োজিত দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সফল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনারে এ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে বিদ্যমান কর্মক্ষেত্রের বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষার্থীদের আজকের বৈশ্বিক ডিজিটাল জীবনধারার সাথে তাদের শিক্ষাজীবনের সামঞ্জস্যহীনতার কারণে কর্মক্ষেত্রে তারা বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা পায় না। তবে তাদেরকে একটু গাইড করতে পারলে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটু দক্ষ করতে পারলে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে সক্ষম।
ইন্টারনেটকে জ্ঞান ভান্ডার হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরাও ইন্টারনেট থেকে নিজে নিজেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
"পৃথিবীতে ডিজিটাল যুগ এসে গেছে। করোনা বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেছে, মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ স্হাপনের এখন হিড়িক পড়ে গেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর চাহিদা এখন ডিজিটাল ডিভাইস ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট।"
২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে আমরা মানুষের জীবনযাত্রাকে পাল্টে দিতে অনেকাংশেই সফল হয়েছি, বলেন মোস্তফা জব্বার।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে। আমরা যদি আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্টের সুযোগটা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি আমাদের অগ্রগতির অগ্রযাত্রা অনিবার্য।
"অগ্রগতির এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।"
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার, ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশন এর সভাপতি কাজী হাসান রবিন এবং শিক্ষার্থী ফাতিমা নাহিদ বক্তৃতা করেন।
বক্তারা, প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদেরকে মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করার জন্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বা দেন।
গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত তরুণদেরকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে ছেড়ে দিলে তারাই তাদের পথ চিনে নিতে সক্ষম হবে, বলেন বক্তারা।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বুধ, শনি ও চাঁদ ত্রিভুজ হয়ে দেখা দেবে রাতের আকাশে
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ৫ ভয়ংকর দিক
- ফ্রিল্যান্সার ফাহিম ছিলেন আমাদের বিস্ময়, আমাদের অনুপ্রেরণা
- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত
- জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করে মোবাইল, জানা আছে কি?
- কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে
ফ্রিল্যান্সিং প্রতিযোগিতায় ১০০০০০ টাকার প্রাইজমানি জিতলেন ফাতেমা মোস্তারী - বিদেশ ফেরতদের আইসিটি প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট, নতুন সম্ভাবনা
- কী আছে বাজারে আসা নতুন আইফোনে!
- ওয়ানপ্লাস ছাড়লেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা কার্ল পেই
- একচেটিয়া ব্যবসা ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ
অ্যামাজন-অ্যাপল-ফেসবুক-গুগলের বিরুদ্ধে ৪৪৯ পৃষ্ঠার রিপোর্ট