মঙ্গলেই বানানো যাবে রকেটের জ্বালানী
মঙ্গলেই বানানো যাবে রকেটের জ্বালানী
মহাকাশে মিশন পরিচালনায় যন্ত্রাংশের বাড়তি ওজন অন্যতম বড় সীমাবদ্ধতা। রকেটের ভর যত বেশি হয় গন্তব্যে পৌছানো তত কঠিন হয়ে যায়। আর ব্যবহৃত জ্বালানী এই ভরের অনেকটাই দখল করে। তাই ভর কমাতে মঙ্গলে ভবিষ্যতে পাঠানো রকেটের জ্বালানী মঙ্গলেই তৈরির কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও গবেষক আর্ভিন মঙ্গলে জ্বালানী তৈরির পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন। মঙ্গলের ভূমি থেকে পাওয়া উপাদান দিয়ে রকেটের জন্যে মিথেন নির্ভর জ্বালানী তৈরি করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
স্যাবাটিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে জিঙ্ক ক্যাটালিস্ট ব্যবহার করে মিথেন ও পানি তৈরি করা যায়। স্পেস স্টেশনগুলোতে এ পদ্ধতিতে জ্বালানী তৈরি করা হয়। ক্ষুদ্র পরিসরে এটি তৈরি করা গেলে রকেটের জ্বালানি হিসেবে মঙ্গল থেকেই জ্বালানি ট্যাংক পুনরায় ভর্তি করা যাবে।
এ পদ্ধতিতে জ্বালানী উৎপাদন করতে প্রচুর পরিমানে কার্বন ডাই অক্সাইড প্রয়োজন হয় এবং মঙ্গলে এর প্রাচুর্যতা রয়েছে। নভোচারীরা ক্যাটালিস্ট হিসেবে রকেটে করে পরিমান অনুযায়ী জিঙ্ক নিয়ে গেলে এ পদ্ধতিতে অদূরে মঙ্গলেই রকেটের জ্বালানী তৈরি করা যাবে। এতে রকেটের ভর অনেকটা কমবে।
বর্তমানে স্পেসশিপে হাইড্রোজেন নির্ভর জ্বালানী ব্যবহৃত হলেও শীঘ্রই মিথেন নির্ভর জ্বালানীর ব্যবহার শুরু করবে মহাকাশগামী সকল নভোযান। ইতিমধ্যে স্পেস-এক্স র্যাপ্টর ইঞ্জিনচালিত একটি স্টারশিপে সম্প্রতি মিথেন জ্বালানীর ব্যবহার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বুধ, শনি ও চাঁদ ত্রিভুজ হয়ে দেখা দেবে রাতের আকাশে
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ৫ ভয়ংকর দিক
- ফ্রিল্যান্সার ফাহিম ছিলেন আমাদের বিস্ময়, আমাদের অনুপ্রেরণা
- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত
- জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করে মোবাইল, জানা আছে কি?
- কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে
ফ্রিল্যান্সিং প্রতিযোগিতায় ১০০০০০ টাকার প্রাইজমানি জিতলেন ফাতেমা মোস্তারী - বিদেশ ফেরতদের আইসিটি প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট, নতুন সম্ভাবনা
- কী আছে বাজারে আসা নতুন আইফোনে!
- ওয়ানপ্লাস ছাড়লেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা কার্ল পেই
- একচেটিয়া ব্যবসা ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ
অ্যামাজন-অ্যাপল-ফেসবুক-গুগলের বিরুদ্ধে ৪৪৯ পৃষ্ঠার রিপোর্ট