জেলা-উপজেলা পর্যায়ের স্কুল কলেজের বেকার যুব সমাজ ও ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী, কিশোর কিশোরীদের ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং এবং প্রোগ্রামিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে আইসিটি অধিদফতর ও আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের সভাকক্ষে এই চুক্তি সই হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউভেশন সেন্টার সমূহের কোর্স কারিকুলাম ও প্রশিক্ষক নির্বাচনের লক্ষ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের অপর একটি চুক্তি সই হয়।

আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ, উপদেষ্টা আবদুল করিমসহ আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সনদমুখী শিক্ষার দিকে নজর না দিয়ে কর্মমুখী শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। দেশের তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং ও প্রোগ্রামিং বিষয়ে দক্ষ দক্ষতা অর্জন করে তরুণ প্রজন্ম শ্রম ও মেধা দিয়ে বিশ্বকে জয় করতে পারে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আজকের এ চুক্তি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নীতিতে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এই প্রযুক্তির শিল্পকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ইডিসি প্রকল্পের আওতায় ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এর ফলে কোডার্সট্রাস্ট ওই সব সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে আমাদের প্রশিক্ষণার্থীরা প্রযুক্তি জ্ঞান আহরণ করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতিও হবে স্মার্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে সারাদেশের নির্বাচিত ১৩টি উপজেলায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, আইসিটি অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রথম পর্যায়ে দেশব্যাপী ১০ হাজার জনকে ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং এ দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রতি ব্যাচে ২৫ জন করে মোট ৬২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।