বিলিয়ন ডলার খরচ, ডিজিটাল স্ট্রিমিং সিএনএন+ বন্ধ ঘোষণা
বিলিয়ন ডলার খরচ, ডিজিটাল স্ট্রিমিং সিএনএন+ বন্ধ ঘোষণা
খরচ হয়ে গিয়েছিলো বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এর সাথে কাজে যোগ দিয়েছিলো কয়েক শ' কর্মী। মিডিয়া জগতের তারকারাও ছিলেন সেই তালিকায়। কিন্তু এক মাসেরও বেশি টিকতে পারছে না সিএনএন'র নতুন ডিজিটাল স্ট্রিমিং সার্ভিস সিএনএন+।
ওয়ার্নার্স ব্রোস ডিসকভারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা সিএনএন+ বন্ধ করে দেবে। আগামী ৩০ এপ্রিলের পর আর চালু থাকবে না এই প্ল্যাটফর্সম।
ডিজিটাল ফিউচারকে সামনে রেখে এটি ছিলো সিএনএন'র একটি বড় পদক্ষেপ। অথচ কোম্পানিটি বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা ৩০ এপ্রিল এটি বন্ধ করে দেবে।
সিএনএন'র নতুন প্রেসিডেন্ট ক্রিস লিক্ট এক ঘোষণায় বলেছেন, আজকের জন্য সিদ্ধান্তটি হয়তো অবিশ্বাষ্যরকমের কঠিন। তবে, সিএনএন'র দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য এটাই হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত।
একটি বিবৃতিতে তিনি আরও লিখেছেন, এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মূল প্রোডাক্টের দিকে ফের অনেক বেশি আলোকপাত করতে পারবো। এবং গ্লোবাল নিউজ লিডার হিসেবে সিএনএন'র সাংবাদিকতা ও সুনাম দুটোই অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব হবে।
হঠাৎ করে সিএনএন+ বন্ধ করার এই ঘোষণা অনেকটা অবাক করার মতো। কারণ এরই মধ্যে সিএনএস এর পেছনে বিলিয়ন ডলার খরচ করে ফেলে। দেশব্যাপী ক্যাম্পেইন চালিয়েছে, কয়েক শ' নতুন কর্মী নিয়োগ করেছে, চড়া দরের মিডিয়া স্টারদের এনে বসিয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন ফক্স সানডে নিউজের সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালেস ও এনপিআর'র সাবেক কো-হোস্ট অডি করনিশ।
আরও খবর হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি সিএনএন'র প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা, এই স্ট্রিমিং কৌশলের প্রধান পরিকল্পনাকারী অ্যান্ড্রু মোরস-ও তার পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
এতবড় একটি সিদ্ধান্তের কথা ওয়ার্নার্স ব্রোস কর্তৃপক্ষ সিএনএন+ এর উর্ধ্বতনদের জানিয়েছেন ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। আর উচ্চপদে আসীন অনেকেই এই বন্ধের খবরটি জেনেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা নিউজ লিংক থেকে। অথচ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আরও আগেই।
সিএনএন এই প্ল্যাটফর্মটি দাঁড় করিয়েছিলো তার সাবেক কর্পোরেট প্যারেন্ট ওয়ার্নারমিডিয়ার সঙ্গে। পরে সেটি একীভূত করা হয় ডিসকভারির সঙ্গে। ডিসকভারির প্রধান নির্বাহী ডেভিড জ্যাসলাভসহ নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউই চায়নি সিএনএন+ এর পেছনে এত অর্থ লগ্নি করা হোক। গেলো মাসে ডিসকভারির সঙ্গে একীভূত হওয়ার মাত্র দিন কয়েক আগে সিএনএন এই প্রোডাক্ট সামনে আনে। এতে খুশি হতে পারেন নি ডিসকভারির কর্তা ব্যক্তিরা।
পরে মি. লিক্ট ও ওয়ার্নার ব্রোস ডিসকভারির গ্লোবাল স্ট্রিমিংয়ের প্রধান জেবি পেরেট বেশ কয়েকটি মিটিং করেন এবং এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নিয়ে নেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএনএন'র স্টাফদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন মি. লিক্ট। এসময় তিনি সিএনএন+ কেনো বন্ধ করা হচ্ছে তার একটি ব্যাখ্যা দেন। প্রোডাক্টটি যাদের উপর ভরসা করে লঞ্চ করা হয়েছিলো এখন তারাই সেটা চাইছে না বলেন তিনি। আর মি. পেরেটের মত, এই প্রোডাক্ট তার প্রতিটি ধাপেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বৈঠকে আলোচনার অডিওর ভিত্তিতে এসব তথ্য জানায় দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
ডিসকভারির নির্বাহীরা মনে করেন, সিএনএন+ প্রকৃতপক্ষ সাড়া জাগাতে পারেনি। একটা সময় পর্যন্ত এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০,০০০ এরও কম ছিলো। তবে সিএনএন এর ভেতরকার সূত্রের খবর, প্ল্যাটফর্মটির ১৫০,০০০ এর মতো পেয়িং সাবস্ক্রাইবার রয়েছে, এবং প্রথম বছরের লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বুধ, শনি ও চাঁদ ত্রিভুজ হয়ে দেখা দেবে রাতের আকাশে
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ৫ ভয়ংকর দিক
- ফ্রিল্যান্সার ফাহিম ছিলেন আমাদের বিস্ময়, আমাদের অনুপ্রেরণা
- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত
- জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করে মোবাইল, জানা আছে কি?
- কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে
ফ্রিল্যান্সিং প্রতিযোগিতায় ১০০০০০ টাকার প্রাইজমানি জিতলেন ফাতেমা মোস্তারী - কী আছে বাজারে আসা নতুন আইফোনে!
- বিদেশ ফেরতদের আইসিটি প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট, নতুন সম্ভাবনা
- ওয়ানপ্লাস ছাড়লেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা কার্ল পেই
- একচেটিয়া ব্যবসা ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ
অ্যামাজন-অ্যাপল-ফেসবুক-গুগলের বিরুদ্ধে ৪৪৯ পৃষ্ঠার রিপোর্ট