দূরের ছায়াপথে পানির সন্ধান
দূরের ছায়াপথে পানির সন্ধান
দূরবর্তী গ্রহ ও ছায়াপথসমূহ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা জানতে চান ওসব ছায়াপথের নক্ষত্রগুলোর বসবাসযোগ্য দূরত্বে কোনো গ্রহ পাক খাচ্ছে কিনা যেখানে প্রাণের বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। সেই পরিবেশের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ যেমন পানি, অক্সিজেন ইত্যাদি খোঁজাও বিজ্ঞানীদের আরেকটা কাজ। সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বহুদূরের একটি ছায়াপথে পানি’র চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা ও দেশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে (এএলএমএ) রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এসপিটিজিরোথ্রিওয়ানওয়ান-ফাইভএইট নামের একটি দানবীয় ছায়াপথের ওপর গবেষণা চালিয়ে পানি’র সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাবিশ্বের প্রথমদিকে সৃষ্টি হওয়া ছায়াপথগুলোর একটি এটি।
দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল-এ প্রকাশিত এএলএমএ-এর বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১২.৮৮ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই ছায়াপথে পানি ও কার্বন মনোক্সাইডের অস্তিত্ব রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন এই দুটো উপাদানের অণুসমূহ ওই ছায়াপথের নক্ষত্রগুলোতে তৈরি হওয়ার পরপরেই পুরো ছায়াপথে এগুলো ছড়িয়ে পড়ে। মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থায় সৃষ্ট ছায়পথসমূহের আণবিক গ্যাসীয় উপাদান নিয়ে করা অনুসন্ধানগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিস্তৃত গবেষণা।
২০১৭ সালে আবিষ্কৃত এসপিটিজিরোথ্রিওয়ানওয়ান-ফাইভএইট ছায়াপথটি দুটি আলাদা ছায়াপথ নিয়ে গঠিত। এ দুটি ছায়াপথই ইপোচ অভ রিআয়নাইজেশন (ইওআর)-এর সময়ে গঠিত হয়েছে। ইওআর বলতে বোঝায় বিগ ব্যাং-এর ৭৮০ মিলিয়ন বছর পরের সময়টাকে যখন প্রথমবারর মতো নক্ষত্রসমূহ গঠিত হওয়া শুরু করেছিল।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ততথ্যমতে দুটি ছায়াপথই বর্তমানে গ্যাসীয় উপাদান ব্যবহার করে একত্রিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার জন্য বড় ছায়াপথটিকে বেছে নিয়েছিলেন। প্রাথমিক মহাবিশ্বে সৃষ্টি হওয়া সব ছায়াপথের চেয়ে এ ছায়াপথটিতে বেশি গ্যাস ও ধুলার অস্তিত্ব রয়েছে যার ফলে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের প্রাথমিক স্তরে ছায়াপথের বিকাশে এ পরিমাণ আণবিক উপাদান কী প্রভাব ফেলেছিল তা অনুসন্ধানের সুযোগ পাবেন।
এর আগের অন্যান্য গবেষণায় মহাবিশ্বের ছায়াপথ বা গ্রহগুলোর ধুলার সাথে পানির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ধুলার কণাসমূহ নক্ষত্রগুলো থেকে সৃষ্ট অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে নেয় এবং পরে তা ফার ইনফ্রা-রেড ফোটন হিসেবে নিঃসরণ করে। এই ফোটন পাণির আণবিক উপাদানসমূহকে অস্থিতিশীল করে এবং তার ফলে গ্রহসমূহে পানির উৎপত্তি ঘটে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বুধ, শনি ও চাঁদ ত্রিভুজ হয়ে দেখা দেবে রাতের আকাশে
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ৫ ভয়ংকর দিক
- ফ্রিল্যান্সার ফাহিম ছিলেন আমাদের বিস্ময়, আমাদের অনুপ্রেরণা
- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত
- জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করে মোবাইল, জানা আছে কি?
- কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে
ফ্রিল্যান্সিং প্রতিযোগিতায় ১০০০০০ টাকার প্রাইজমানি জিতলেন ফাতেমা মোস্তারী - বিদেশ ফেরতদের আইসিটি প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট, নতুন সম্ভাবনা
- কী আছে বাজারে আসা নতুন আইফোনে!
- ওয়ানপ্লাস ছাড়লেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা কার্ল পেই
- একচেটিয়া ব্যবসা ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ
অ্যামাজন-অ্যাপল-ফেসবুক-গুগলের বিরুদ্ধে ৪৪৯ পৃষ্ঠার রিপোর্ট