উইন্ডোজ ১১: গ্রাহকরা পাবেন অনন্য অভিজ্ঞতা
উইন্ডোজ ১১: গ্রাহকরা পাবেন অনন্য অভিজ্ঞতা
সম্প্রতি উইন্ডোজ ১১ উন্মোচন করেছে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজের সর্বশেষ এই সংস্করণটি ব্যবহারকারীদেরকে তাদের প্রিয় বিষয় ও মানুষদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে বলেই প্রতিষ্ঠানটির অভিমত।
উইন্ডোজ ১১ এর ইনটিউটিভ ডিজাইন ফিচার মাল্টি টাস্কিং -কে করেছে আরও সহজ। সম্পূর্ণ নতুন মাইক্রোসফট স্টোরে ব্যবহারকারীরা এখন সহজেই খুঁজে পাবেন অ্যাপ, গেম ও মুভি। কাজ, শেখা, বিনোদন সকল ক্ষেত্রেই নতুন উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারীদের অনন্য অভিজ্ঞতা দিবে।
এ সম্পর্কে মাইক্রোসফটের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার পানোস পানায় বলেন, “গত ১৮ মাসে আমাদের কম্পিউটার ব্যবহারের ধরণে আমুল পরিবর্তন এসেছে। আগে যেই কম্পিউটার আমরা কাজের প্রয়োজনে ও ব্যবহারিক কাজের অংশ হিসেবে ব্যবহার করতাম, এখন কম্পিউটারের ব্যবহার আমাদের ব্যক্তিগত জীবন ও অনুভূতির ক্ষেত্রেও সম্পৃক্ত হয়েছে।”
“এ বিষয়টি আমাদেরকে কোটি কোটি মানুষের আস্থার প্ল্যাটফর্ম উইন্ডোজ’র পরবর্তী প্রজন্ম তৈরিতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। উইন্ডোজ ১১ এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চেয়েছি যেখানে প্রত্যেকে আরো ভালোভাবে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করবে, শিখতে পারবে এবং নিজেদের কানেক্ট করতে পারবে।”
এ বছরের শেষের দিকে নতুন কম্পিউটারে পাওয়া যাবে উইন্ডোজ ১১, একইভাবে উইন্ডোজ ১০ থাকা কম্পিউটারে বিনামূল্যে উইন্ডোজ ১১ আপগ্রেড হবে।
কাজের গতি বাড়াতে দ্রুততর এবং আরও নিরাপদ ওএস
ব্যবহারকারীদের সহজে কাজ সম্পন্ন করতে এবং তাদের সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহ প্রদানে উইন্ডোজ ১১ -এ রয়েছে নতুন ও সহজ ইন্টারফেস এবং সাবলীল সব ফিচার। স্ক্রিনের কেন্দ্রে থাকা স্টার্ট বাটনটি ক্লিক করে ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি খুঁজে নিতে পারবেন। স্টার্ট বাটনটি ক্লাউড ও মাইক্রোসফট ৩৬৫ ব্যবহার করে, যা বিভিন্ন ডিভাইস ও প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত সর্বশেষ ফাইল ব্যবহারকারীদের দেখাবে। এতে ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস অন্য কম্পিউটারে কাজ করা সর্বশেষ ডকুমেন্ট সহজেই খুঁজে নিতে পারেন।
উইন্ডোজ ১১ -এর স্ন্যাপ লেআউট, স্ন্যাপ গ্রুপ ও ডেস্কটপ এর মতো ফিচারগুলো আরও সুসংসহভাবে উইন্ডোজ ব্যবহারে সহায়তা করবে পাশাপাশি তাদের স্ক্রিন রিয়েল এস্টেট (কোনো অ্যাপ্লিকেশনের আউটপুট প্রদানে ডিসপ্লে’তে থাকা জায়গা) -এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবেন। কম্পিউটারের স্ক্রিনে একইসাথে কয়েকটি উইন্ডোজ ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা একাধিক অ্যাপ পাশাপাশি রেখে একসাথে সাবলীলভাবে কাজ করতে পারবেন। ডেস্কটপের মাধ্যমে কাজ, গেমিং বা স্কুলসহ যেকোনো জিনিসের জন্য ব্যবহারকারীরা স্পেস কাস্টোমাইজ করতে পারবেন এবং সেগুলো সুবিধা অনুযায়ী পরিবর্তন করাতে পারবেন।
উইজেটস এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দসই তথ্য জানত্যে পারবেন। এটি এআই প্রযুক্তির ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত নিউজ ফিড দেখাবে। হালনাগাদ উইন্ডোজে মাইক্রোসফট এজ এর মাধ্যমে ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা হবে অসাধারণ। ক্রিয়েটর ও পাবলিশারদের জন্য উইজেটস পার্সোনালাইজড কন্টেন্ট প্রদানে নতুন রিয়েল এস্টেট চালু করবে।
হাইব্রিড ওয়ার্ক (অনলাইন ও অফলাইনে কাজের সমন্বয়) ও শেখার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত অপারেটিং সিস্টেম প্রদানে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে উইন্ডোজ ১১। এতে বিল্ট-ইন সুরক্ষা প্রযুক্তি রয়েছে এবং বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহারে ও তথ্য সুরক্ষিত রাখতে রয়েছে জিরো ট্রাস্ট-রেডি অপারেটিং সিস্টেম।
গেমিং, বিনোদন ও কানেক্টেড থাকার ক্ষেত্রে উন্নত অভিজ্ঞতা
উইন্ডোজ ১১- এর সাথে রয়েছে নতুন অল-নিউ মাইক্রোসফট স্টোর যা গতি, বৈচিত্র্য এবং ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে। এতে রয়েছে ফার্স্ট ও থার্ড পার্টি অ্যাপের বিস্তৃত ক্যাটালগ। সুরক্ষা ও পরিবারের নিরাপত্তার এ অ্যাপগুলো যাচাই করা হয়েছে। উইন্ডোজের নতুন সংস্করণ ব্যবহারকারীদের বিনোদন গ্রহণে, অনুপ্রেরণা পেতে ও কানেক্টেড থাকার ক্ষেত্রে অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপগুলোও এখন থেকে প্রথমবারের মত মাইক্রোসফট স্টোরে পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা অ্যামাজন অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে সেগুলো ডাউনলোড করতে পারবেন। এই অসাধারণ ব্যপারটি সম্ভব হয়েছে মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের পার্টনারশিপের মাধ্যমে।
উইন্ডোজ ১০ এর মতোই উইন্ডোজ ১১ -এও অ্যাপ অ্যাসিউর এর মাধ্যমে অ্যাপ কম্প্যাটিবিলিটি’র প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মাইক্রোসফট। অ্যাপ এসিউর এর মাধ্যমে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই ১৫০ বা তারও বেশি অ্যাপ বিষয়ক সমস্যার সমাধান করা হয়।
ক্রিয়েটর ও ডেভেলপারদের জন্য আরও উন্মুক্ত ইকোসিস্টেম তৈরি
মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ ১১ এর মাধ্যমে ক্রিয়েটর ও ডেভেলপারদের জন্য আরও উন্মুক্ত ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। এর মাধ্যমে ডেভেলপাররা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও অনেক বেশি অ্যাপ, গেম, মুভি, টিভি শো এবং ওয়েব কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন। যেখানে:
• ডেভেলপার ও ইন্ডিপেনডেন্ট সফটওয়্যার ভেনডরস অ্যাপ (আইএসভিএস) তাদের অ্যাপগুলো মাইক্রোসফট স্টোরে আনতে পারবেন। এক্ষেত্রে, উইন৩২ কিংবা প্রোগ্রেসিভ ওয়েব অ্যাপ (পিডব্লিউএ) ফ্রেমওয়ার্ক কোনো বাঁধা হবে না।
• মাইক্রোসফটের রেভিনিউ শেয়ার নীতি পরিবর্তনের ফলে ডেভেলপাররা তাদের শতভাগ ব্যবসায়িক রেভিনিউ পাবেন। অ্যাপ ডেভেলপাররা এখনও ৮৫/১৫ রেভিনিউ শেয়ারে মাইক্রোসফটের বানিজ্যিক ইকোসিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক ফিচারগুলো বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- বুধ, শনি ও চাঁদ ত্রিভুজ হয়ে দেখা দেবে রাতের আকাশে
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ৫ ভয়ংকর দিক
- ফ্রিল্যান্সার ফাহিম ছিলেন আমাদের বিস্ময়, আমাদের অনুপ্রেরণা
- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত
- জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করে মোবাইল, জানা আছে কি?
- কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে
ফ্রিল্যান্সিং প্রতিযোগিতায় ১০০০০০ টাকার প্রাইজমানি জিতলেন ফাতেমা মোস্তারী - বিদেশ ফেরতদের আইসিটি প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট, নতুন সম্ভাবনা
- কী আছে বাজারে আসা নতুন আইফোনে!
- ওয়ানপ্লাস ছাড়লেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা কার্ল পেই
- একচেটিয়া ব্যবসা ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ
অ্যামাজন-অ্যাপল-ফেসবুক-গুগলের বিরুদ্ধে ৪৪৯ পৃষ্ঠার রিপোর্ট