কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে ট্রেন, পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ২৪ মে ২০২১ সোমবার আপডেট: ০৩:২৮ পিএম, ২৪ মে ২০২১ সোমবার
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সাত সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে ট্রেন। সোমবার (২৪ মে) থেকে কঠোর স্বাস্থবিধি মেনে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছে ট্রেন। যাত্রী সংখ্যা অর্ধেক কমিয়ে আনা হয়েছে।
ট্রেনের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পরিদর্শনে গেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে ওঠে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা খেয়াল করেন এবং যাত্রী ও কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজখবর নেন।
স্বাভাবিক সময় ঢাকা থেকে সকালে অনেক ট্রেন ছাড়লেও এখন ট্রেনগুলো গন্তব্য স্টেশনে আছে। তাই সেগুলো ফিরলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। সকাল ৮ টায় ঢাকা থেকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগ্রামী মহানগর প্রভাতি ছেড়ে গেছে।
কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে যাত্রীসংখ্যা কমই দেখা গেছে। তারজন্য অবশ্য অনলাইনে টিকেট কাটাকে দায়ী করছেন অনেকে। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্লাটফর্মে কোন টিকেট বিক্রি করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়। তাই অনেকে স্টেশন এসেও টিকেট না থাকায় ভ্রমণ করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে চলছে ট্রেন। আর সব টিকিট অনলাইনে। তাই স্টেশনে কোনো টিকিটের ব্যবস্থায় রাখা হয়নি।’
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে দেখা গেছে। এছাড়া যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা এবং মাস্ক পরার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। মাইক থেকেও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছিল।
স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার আগে ট্রেনগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছিলেন ফেমাস ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার গোলামুন নবী রায়হান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় আমরা প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার আধাঘণ্টা আগে ভেতরে স্প্রে করছি। এছাড়া ওই ট্রেন ছাড়া পর্যন্ত হাতল এবং টয়লেটে অনবরত স্প্রে করা হচ্ছে।